মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলেকে পাভলভ হাসপাতালে ভর্তির প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে দরবার করেছেন বাবা। কিন্তু, কোনও কিছুতেই সমাধান মেলেনি। শেষে♏ মানসিক ভারসাম্যহীন ওই যুবককে পাভলভ হাসপাতালে ভর্তির নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। দক্ষি🧔ণ ২৪ পরগনার জয়নগরের বাসিন্দা ওই যুবককে পাভলভে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
আরও পড়ুন: ৩০ বছরেও হয়নি সন্তান, IVF পদ্ধতিতে বাধা বয়স, হাইকোর্টের দ্বা𒀰র𒆙স্থ প্রৌঢ় দম্পতি
মামলার বয়ান অনুযায়ী, ছেলেকে ভর্তির জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন নিমাইচাঁদ মণ্ডল। তাঁর বছর আঠারোর ছেলে কয়েক বছর ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। গত ৫ থেকে ৬ বছর ধরে বিভিন্ন জায়গায় তার চিকিৎসা করা হয়েছে। এমনকী কল্যাণীর এইমস হাসপাতালেও তার চিকিৎসা হয়েছে। তারপরে অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। বরঞ্চ অবনতি হয়েছে। দুর্গাপুজোর পরে তার অবস্থার আরও অবনতি হয়। তখন তাকে ঘর বন্ধ করে রাখতে হয় পরিবারের সদস্যদের। তার আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন এলাকাবাসীরা। ছাড়া পেলেই প্রতিবেশীদের বিভিন্ন রকমের ক্ষয়ক্ষতি করত। ত🐬বে কোনও হাসপাতালে তাকে ভর্তি নেওয়া হয়নি। তাই শেষ পর্যন্ত তাকে ঘরে বন্দি করে রাখা হয়।
এরকম অবস্থায় দাঁড়িয়ে নিমাই মণ্ডল সরকারি সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করেন। পাভলভ হাসপাতালের♑ সুপার, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সিএমওএইচ'কে চিঠি লিখে নিজের আর্থিক অসঙ্গতির কথা জানিয়ে ভর্তির জন্য আবেদন জানান। কিন্তু, সরকারের তরফে কোনও সাহায্য না পেয়ে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে।মামলাটি জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন জানান মামলাকারীর পক্ষে আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায় চৌধুরী।
সেই আবেদনের সাড়া দিয়ে জরুরি ভি﷽ত্তিতে মামলাটি শোনেন বিচারপতি সিনহা। আইনজীবী জানান, যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থায় নেই পরিবার। তাই সরকারি সাহায্যে বাড়ি থেকে যুবককে নিয়ে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হোক। আইনজীবী আরও জানান, যে তাকে একটি বেসরকারি জায়গায় ভর্তি করা হয়েছে। তারাও বাড়ি থেকে যুবককে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, সেই হাসপাতালে সেই অর্থে পরিকাঠামো নেই। তাছাড়া, ওই বেসরকারি হাসপাতালে যে খরচ তা বহন করাও সম্ভব হচ্ছে না। সরকারি আইনজীবী জানান, ইতিমধ্যেই যুবকের যাবতীয় পরীক্ষা করা হয়েছে। সোনারপুরের একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত ভর্তি করার পক্ষে মত দিয়েছেন। দুপক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি সিনহা ওই যুবককে মানসিক হাসপা💞তাল পাভলভে ভর্তি করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সিএমওএইচ এবং পাভলভের সুপারকে এই দায়িত্ব দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা।