ডিউটি আওয়ার্সে, প্রশাসনিক দফতরে বসেই হরিনাম সংকীর্তন শুনছেন পুলিশে𓂃র কর্তা ও আধিকারিকরা! রীতিমতো খোল, করতাল বাজিয়ে কীর্তন করছেন কয়েকজন সন্ন্যাসী। আর মন দিয়ে তা শুনছেন উর্দিধারীরা!
সম্প্রতি এমনই একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। যার জেরে নানা প্রতিক্রিয়꧙া দিয়েছেন নেট নাগরিকরা।
সূত্রের দাবি, এই ঘটনা ঘটেছে গুরুগ্রামের পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের 💦ভিতর। সংশ্লিষ্ট ভিডিয়োয় যাঁরা কীর্তন পরিবেশন করছেন, তাঁরা সকলেই ইসকনের গুরুগ্রাম শাখার সদস্য বলে দাবি করা হচ্ছে। তাঁদের উপস্থ𓆏াপনার তালে-তালে ডিউটিতে থাকা পুলিশ কর্তা ও আধিকারিকদের তালি দিতেও দেখা গিয়েছে!
বলা হচ্ছে, পুলিশ কর্মীদের কাজের চাপ ও স্ট্রেস কমাতেই নাকি এই বিশেষ কীর্তন সেশনের আয়োজন করা হয়েছিল। পুলিশ দিবস উপলক্ষে ছিল এই বিশেষ উদꦕ্যোগ।
এই নামকীর্তনের নেতৃত্বে ছিলেন আরাধ্য গৌর প্রভু। এই🐭 বিষয়ে ইসকনের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করা হಞয়। তাদের বক্তব্য, পুলিশ কর্তারা এই উদ্যোগে অত্যন্ত খুশি ও সন্তুষ্ট।
গুরুগ্রামের পুলিশ কমিশনার এবং ডেপুটি 🦂পুলিশ෴ কমিশনার - দু'জনেই এই উপস্থাপনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বলে দাবি ইসকন কর্তৃপক্ষের।
ইসকনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, 'শ্রীলা প্রভুপদের আশীর্বাদ' মাথ💟ায় নিয়ে পুলিশ কর্মী ও আধিকারিকদের জন্য এই নাম সংকীর্তনের আয়োজন করা হয়। তাদের আশা, এই উপস্থাপনা শুনে পুলিশ কর্তাদের ক💫াজের চাপ এবং মানসিক উদ্বেগ অনেকটাই কমবে।
গুরুগ্রামের পুলিশ কমিশনারে কার্যালয়ের ভিতর এমন একটি আয়োজন নিয়ে ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে নানা মন্তব্য করেছেন নেট নাগরিকরা। তাঁদের একাংশ পুলিশের চাকরিতে মানসিক চাপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও অধিকাংশই এই আয়োজনের য💜ৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
তাঁদের বক্তব্য, হরিনাম কীর্তন শুনলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের যে মানসিক চাপ কমে, এর আদৌ বিজ্ঞানসম্মত কোনও প্রমাণ আছে কি? অনেকেই আবার সরাসরি এই আয়োজনের সমালোচনা না করলেও কিছুটা তীর্যক সুরে মন্তব্য করেছে🍒ন। কেউ-কেউ আবার সরাসরি এই উপস্থাপনার প্রশংসাও করেছেন।
এক এক্স ইউজার যেমন লিখেছেন, 'আমি এর মধ্🧸যে ভুল কিছু দেখছি না। ওঁরা হরিনাম কীর্তন করছেন। যা শুনতে খুব ভালো লাগে। সমাজে ইসকনের অনেক অবদান রয়েছে। তারা মানুষের মধ্যে জ্ঞান বিতরণ করে এবং হরিনামের মাধ্যমে আমাদের একজোট করে। এই ভাবনা আমাদের সমাজের জন্য ভালো কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে। এই কীর্তন প্রভাবহীন এবং সিনেমার কুরুচিকর গানের মতো নয়।'
এর ঠিক বিপরীতে এক এক্স ব্যবহারকারীর প্রশ্ন, 'যদি কেউ এখন আ⛦পতকালীন ১০০ নম্বর ফোন করে এবং পুলিশ কর্মীরা হরিনাম শুনতে ব্যস্ত থাকেন, তাহলে কী হবে?'
প্রায় একই সুরে আরও একজনের মন্তব্য, '🃏সবে তো শুরু, আরও কত দেখব!'