দোল পূর্ণিমার রাতে ঢাকায় চালানো হয়েছে ইসকনের রাধাকান্ত মন্দিরে। এমনই জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএনআই। অনুযায়▨ী, সেই ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন তথ্য উঠে আসছে। একটি মহলের দাবি ♛যে জমি নিয়ে বিবাদের জেরে হামলা চালানো হয়েছে। আবার পুলিশের তরফে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে হামলার অভিযোগ। পুলিশের দাবি, সংস্কারের সময় মন্দিরের দেওয়াল ভেঙে গিয়েছে।
এ🅠এনআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাতে একদল উন্মত্ত জনতা ঢাকার মন্দিরে হামলা চালায় বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। ইসকন কলকাতার সহ-সঙাপতি রামারমণ দাস বলেছেন 'গৌর পূর্ণিমা উদযাপনের জন্য আমাদের ভক্তরা যখন প্রস্তুতি চালাচ্ছিলেন, তখন ঢাকায় শ্রী রাধাকান্ত মন্দিরের চত্বরে ঢুকে পড়েন প্রায় ২০০ জন। সেই ঘটনায় আমাদের তিনজন ভক্ত আহত হয়েছেন। ভাগ্যবশত, তাঁরা পুলিশকে ডাকেন এবং মন্দির চত্বর থেকে দুষ্কৃতীদের সরিয়ে দিতে সক্ষম হয়।'
ত♑ারইমধ্যে বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন অনুযায়ী, মন্দিরে 'হামলা' নিয়ে বিভিন্ন তথ্য উঠে এসেছে। শুক্রবার ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে এসেছিল হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদকে উদ্ধৃত করে বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মন্দিরের জমি নিয়ে একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠীর সঙ্গে বিরোধ চলছিল। তার জেরে হামলা চালানো হয়েছে। দেওয়ালের একাংশ ভেঙে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। মূর্তি নিযে যাওয়া বা লুঠপাঠের মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি।
যদিও বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন অনুযায়ী, মন্দিরের হামলা চালানো হয়নি। মন্দিরের দেওয়ালের একাংশ ভেঙে পড়েছে। পাশাপাশি সেই ঘটনায় অভিযোগ না নেওয়ার দাবিও অস্বীকার করেছে পুলিশ। মন্দির চত্বরে প෴ুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে🍌 বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর দুর্গাপুজোর সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে পুজো মণ্ডপ এবং হিন্দু মন্দিরে তাণ্ডব চালানো হয়েছিল। সেইসময় সোশ্যাল মꦿিডিয়ায় গুজব ছড়িয়েছিল যে কোরানের অবমাননা করেছে। তার জেরে লাগামছাড়া হিংসায় কমপক্ষে তিনজন মারা গিয়েছিলেন। তা নিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। করা হয়েছিল পদক্ষেপ। কড়া বার্তা দিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।