বকরি ইদে ১২ লাখ টাকা দিয়ে ১২৪টি ছাগল কিনলেন এক ব্যক্তি এবং তাঁর পরিজনরা। সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বকরি ইদে কুরবানির জন্য চাঁদনি চক-সহ পুরনো দিল্লি এলাকার বিভিন্ন জায়গায় যে ছাগল বিক্রি করা হচ্ছিল, সেগুলি কিনে নেন তাঁরা। সেই প্রাণীগুলিকে উত্তরপ্রদেশের বাগপতের একটি আশ্রয়স্থলে রেখে আসার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন দিল্লির ২৯ বছরের চার্টার্ড অ্যাক🍎াউন্টেন্ট বিবেক জৈন। তিনি জানিয়েছেন যে কোনও ধর൲্মের ভাবাবেগে আঘাত করতে চাননি। বরং নিজের জৈনধর্মের আদর্শ (নিজে বাঁচো, বাকিদের বাঁচতে দাও) মেনে ছাগল কিনেছেন বলে জানিয়েছেন বিবেক।
কীভাবে সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করা হল?
ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিবেক জানিয়েছেন যে তাঁর কাছে যা টাকা ছিল, সেটা দিয়ে প্রাথমিকভাবে ছয়-সাতটি ছাগল কেনার পরিকল্পনা ছিল। পরে তাঁর সেই পরিকল্পনার কথা জানতে পারেন অন্যরাও। তাঁরাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। জমা পড়তে থাকে টাকা। পরবর্তীতে হোয়্যাটঅ্যাপেও সেই পরিকল্প꧑নার কথা ছড়িয়ে পড়তে আরও মানুষ এগিয়ে আসেন। সেভাবেই প্রায় ১৭ লাখ টাকা ওঠে বলে জানিয়েছেন বিবেক।
নিজেরাই বাজারে গিয়ে ছাগল কেনেন বিবেকরা
ওই রিপোর্ট🦹 অনুযায়ী, বিবেক জানিয়েছেন যে টাকা জোগাড় হয়ে গেলেও কীভাবে ছ🦩াগল কেনা যাবে, সেটা নিয়ে চিন্তা ছিল। খুব সতর্কভাবে তাঁদের সেই কাজটা করতে হয়েছে, যাতে কারও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত না লাগে। সেইমতো জৈনধর্মের মানুষদের নিয়ে মোট ছ'টি দল গঠন করা হয়। প্রতিটি দলে দু'জন ছিলেন। তাঁরা সকলেই সাদা কুর্তা এবং পাজামা পরে নেন।
তাঁরা দিনভর জামা মসজিদ, দরিয়াগঞ্জ, মীনাবাজারের মতো এলাকায় ঘুরে 🔯বেরিয়ে ছাগল কেনেন বলে জানিয়েছেন গৌরব। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, গৌরব জানিয়েছেন যে গড়ে প্রতিটি ছাগলের দাম পড়েছে ১০,০০০ টাকা। দিনের শেষে তাঁরা মোট ১২৪টি ছাগল কেনেন। তারপর সেই প্ꦫরাণীগুলিকে ধরমপুরা এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। ভীত প্রাণীদের শান্ত করতে মন্ত্রপাঠের ব্যবস্থা করেন তাঁরা। দেওয়া হয় খাবার এবং জল।
আশ্রয়কেন্দ্রে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন গৌরবরা
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, গৌরবরা জানি🅘য়েছেন যে তাঁদের হাতে এখনও পাঁচ লাখ টাকার মতো পড়ে আছে। সেই অর্থ বাগপতে ছাগলের একটি আশ্রꦦয়কেন্দ্রে দিয়ে দেওয়া হবে। সেখানেই ওই ১২৪টি ছাগলকে পাঠিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গৌরবরা।