ভারত ও চিনের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্কের ভিত্তি সীমান্ত এলাকায় শান্তি। মঙ্গলবার এমনটাই বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। যদিও জয়শংকরের অভিযোগ, সময়ে সময়ে সীমান্তে শান্তি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। উল্লেখ্য, ‘সেন্টার ফর কন্টেম্পোরারি চায়না স💖্টাডিজ’-এর 🐷আয়োজিত ‘নতুন যুগে চিনের পররাষ্ট্রনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন এস জয়শংকর। উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাস ধরেই জয়শংকর বলে এসেছেন যে সীমান্তে শান্তি না ফিরলে ভারত ও চিনের সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না। আজও তাঁর গলায় সেই একই সুর শোনা গেল।
জয়শংকর আজ বলেন, ‘ভারতকে অবিলম্বে আরও কার্যকরভাবে প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত হতে হবে।’ চিন সম্পর্কে বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘২০২০ সালের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তারা স্পষ্টতই সীমান্তের কার্যকর প্রতিরক্ষার দিকে মনোনিবেশ করেছে। কোভিডের মধ্যেও এটি উল্লেখযোগ্যভাবে করা হয়েছিল তাদের তরফে।’ ভারত-চিন সম্পর্ক প্রসঙ্গে জয়শংকর বলেন, ‘২০২০ সালের পরে ভারত ও চিনের মধ্যে একটি ব্যবহারিক আপসের সম্পর্ক স্থাপন করা সহজ কাজ নয়। তবুও এটা করতে হবে। তবে শুধুমাত্র তিনটি পারস্পরিকতার ভিত্তিতেই এটা সম্ভব: পারস্পরিক শ্রদ্ধা, পারস্পরিক সংবেদনশীলতা এবং পারস্পরিক স্ব♕ার্থ।’
ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী বিগত কয়েক বছরের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বলেন, ‘পারস্পরিক সম্পর্ক এবং মহাদেশের সম্ভাবনার ক্ষেত্রে গত কয়েক বছর গুরুতর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন ꦬহয়েছি আমরা। বর্তমান অচলাবস্থার জেরে ভারত বা চিন কেউই লাভবান হবে না।’ উল্লেখ্য, এর আগে সেপ্টেম্বরে ভারতে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত সান ওয়েডং দাবি করেছিলেন সবমিলিয়ে স্থিতাবস্থা রয়েছে সীমান্তে। তবে জয়শংকর বরাবরই বলে এღসেছেন, ‘চিনের সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে ভারতের জন্য।’ সেই সুরই আজ ফের একবার শোনা গেল বিদেশমন্ত্রীর গলায়।