লক্ষ লক্ষ টাকা রোজไগারের এ এক আজব উপায়! মৃতদেহের দাহকার্যের পর সেই ছাই ঘেঁটে উদ্ধার করা বিভিন্ন ধরনের মূল্যবান ধাতু বিক্রি করেই নাকি বিপুল পরিমাণ অর্থꦜ উপার্জন করছে জাপানের বিভিন্ন শহরের প্রশাসন!
ক𒁃োনও গল্প কথা নয়। এই তথ্যে নাকি কোনও ভেজাল নেই। এমনটাই দাবি করা হয়েছে 'নিক্কেই এশিয়া'র একটি প্রতিবꦅেদনে।
তাতে বলা হয়েছে, প্রতি বছর জাপানের নানা প্রান্ত🔯ে সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। তারপর প্রথা মেনে তাঁদের দেহ দাহ করা হয়। এরপর সেই ছাইভষ্ম থেকেই সংগ্রহ করা হয় বিভিন্ন ধরনের দামি ধাতু!
বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হতেই অনেকে এই অভ্যাস বনಌ্ধ করতে কঠোর আইন আনার পক্ষে সওয়াল করতে শুরু করেছেন।
কিন্তু, প্রশ্ন হল, এমন ঘটনা ঘটছে কীভাবে? জাপানের প্রচলিত নিয়ম ও আইন অনুসারে, মৃতদেহ সৎকারের পর পরিবারের সদস্যরা কেবলমাত্র পুড়ে যাওয়া শরীরের বড় আকারের হাড় বা অস্থ📖িগুলির উপরই নিজেদের অধিকার দাবি করতে পারেন।
কিন্তু, শেষকৃত্যের পর মৃতদেহের ছাইভষ্ম কার জিম্মায় থাকবে, তা নিয়ে কোনও স্পষ্ট আইন নেই। আর, আইনের এই ফাঁক গಞলেই নাকি লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন হচ্ছে।
আসলে, জীবদ্দশায় অনেকেই সোনার দাঁত লাগান। কারও হাড় ভেঙে গেলে টাইটেনিয়ামের রড বসানো হয়। বাজারে এসবের অনেক দাম। অভিযোগ, মৃতদেহ দাহ করার পর, ছাইভষ্ম থেকে শরীরের এই সমস্ত ধাতব অংশ সংগ্রহ করে নি▨চ্ছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
তথ্য বলছে, বহু শহরে প্রচলিত গণসৎকার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই এই ধরনের ধাতব সম্পদ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এবং পরে যেগুলি মোটা অঙ্কে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। দেশের ৮৮টি বড় শহরের মধ্যে ৪৩টি শহরেই এমন ঘটনা ঘটছে। শতাংশের ﷽হিসাবে ✃পরিমাণটা প্রায় ৪৮ ভাগ।
২০১০ সাল এবং তারপর থেকে এই ধরনের ঘটনা বেড়ে গিয়েছে বলেও অ🍌ভিযোগ উঠছে - পরিমাণটা মোট ঘটনার প্রায় ৭০ শতাংশ।
ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, এর পিছনে প্রধান কারণই হল শ্মশানগুলি পরিচালনার প্রচলিত ব্যবস্থাপনা। কারণ, টোকিও ছাড়া জাপানের সমস্ত বড় শহরের প্রায় ৯৭ শতাংশের ক্ষেত্রেই এই শ্মশানগুলি সরকারিভাবে চালানো হয়। ফলে অনেক সময় পরিষেবা প্রদানের বিনিময়েও এই ধরনের মূল্যবান ধাতব অবশেষে কর্তৃপ🦹ক্ষ সংগ্রহ করে নেয়।
টোকিওর ক্ষেত্রে বিষ🍌য়টা একটু আলাদা। কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা রয়েছে, তারা, শহরেরꦍ মোট ২৩টি ওয়ার্ডের জন্য বরাদ্দ ন'টি শ্মশানের সাতটিই বেসরকারিভাবে পরিচালনা করে।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংশ্লিষ্ট রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে🅷, যে সমস্ত শহরে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে, তার মধ্যে মাত্র ৪৫ শতাংশ শহরের প্রশাসন এ নিয়ে বাসিন্দাদের তথ্য সরবরাহ করেছে। বাকিরা সেটাও করেনি।
ওই রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, শুধুমাত্র ২০২৩ সালেই এই ধরনের ধাত♓ব সামগ্রী বিক্রি করে জাপানের শহরগুলি ৬.৪৯ বিলিয়ন ইয়েন (প্রায় ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚার) উপার্জন করেছে।
এই পরিমাণটা ২০১৯ সালের তুলনায় অন্তত ৩.৪ গুন বেশি। কারণ𒉰, এই সময়ের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনಞই বেড়েছে বিভিন্ন মূল্যবান ধাতুর দাম।