এ যেন রূপকথার গল্প। বা কোনও অ্যানিমের দৃশ্য। এক 'সাধারণ নাগরিক' ෴ও এক রাজকুমারীর প্রেমের কাহিনী। আর শেষমেশ সেই ভালবাসা পরিণতি পেল বিয়েতে। সকল বাধা পেরিয়ে কলেজের সময়কার প্রেমিককে বিয়ে করলেন জাপানের (প্রাক্তন)রাজকুমারী মাকো। এর জন্য বংশ ত্যাগ করতেও পিছপা হলেন না তিনি।
মাকো এবং তাঁর প্রেমিক কেই কোমুরো, দুজনেরই বয়স ৩০ বছর। বছর চারেক আগেই আগে নিজেদের বাগদানের ঘোষণা করেছিলেন তাঁরা। জাপানের সম্রাটের ভাইঝি হয়েও একজন সাধারণ যুবককে ভালবাসা, সাধারণ জীবনযাপন, পড়াশোনায় আগ্রহ এবং দয়ালু মনোভাবের জন্য দেশবাসীর মন জয় করে ✃নেন তি🌌নি।
কিন্তু এক অর্থ কেলꦉেঙ্কারির ঘটনায় নাম জড়িয়ে যায় মাকো ও কোমুরোর। সেই সঙ্গে তাঁদের বিয়ে নিয়েও শুরু হয় তুমুল চর্চা। এমন পরিস্থিতিতে বিয়ে স্থগিত করে দিতে বাধ্য হন তিনি। তাঁর মানসিক অবসাদের খবরও সেই সময়ে প্রকাশিত হয়। আইন পড়তে ২০১৮ সালে নিউ ইয়র্ক পাড়ি দেন মাকো। ফিরে আসেন ২০২১-এর সেপ্টেম্বরে। অবশেষে কেই কোমুরোর সঙ্গে বিয়ের ঘোষণা করেন তিনি।
রাজকীয় বিবাহ হতে পারে। কিন্তু আয়োজন ছিল একেবারেই ছিমছাম। সকালে ইম্পেরিয়াল হাউসহোল্ড এজেন্সির (আইএইচএ) একজন আধিকারিক আসেন। এরপর তাঁরা স্থানীয় অফিসে বি🎀য়ের কাগজপত্র জমা দ🐓েন। এরপর রাজপরিবারের কিছু আচার অনুষ্ঠান পালন করেন। জাপানের করোনভাইরাস প্রোটোকলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মাস্ক পরেছিলেন সকলে।
রাজপরিবারের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও সাধারণ নাগরি❀ককে বিয়ে করা হলে তিনি বংশচ্যুত হবেন। তখন তিনি জাপানের সাধারণ নাগরিক হিসাবে গণ্য হবেন। তবে প্রথামাফিক রাজপরিবারের এই সদস্যরা, মূলত মহিলার♐া ১.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি এককালীন ভাতা পান। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৯ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। তবে এই বিপুল অঙ্কের ভাতা নিতে অস্বীকার করেন মাকো।
টে🤪লিভিশন ফুটেজে মাকোকে দেখা গিয়েছে, প্যাস্টেল শে♛ডের পোশাকে রাজকুমারীর রূপে। বাবা-মা এবং ২৬ বছর বয়সী বোন কাকোকে রাজপ্রাসাদের প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে বিদায় জানান তিনি। চোখের জল ধরে রাখতে পারছিলেন না সকলে।
মা♎কো তাঁর বাবা-মাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বও করেন। এরপর বোনকে জড়িয়ে ধরেন তিনি। দুজনে এরপর নিউইয়র্কে থাকবেন এবং পড়াশোনা ও কাজকর্ম করবেন। আপাতত টোকিয়োতে কয়েকদিন থাকবেন প্রাক্তন রাজকুমারী। পাসপোর্টের কাজ শেষ হলেই পাড়ি দেবেন মার্কিন মুলুকে।