কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বিশাল রদবদল করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে যে সন্ধ্যা ৬টায় শপথ গ্রহণ করবেন ৪৩ জন মন্ত্রী। আর এর আগেই সম্ভাব্য মন্ত্রীদের সঙ্গে নিজের বাসভবনে বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকে ছিলেন নিশীথ প্রামাণিক ও শান্তনু ঠাকুর। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলা ও বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকারও। আর এরপরই তাঁদের মন্ত্রিত্ব পাওয়া নিয়েও শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।এদিকে বারলার মন্ত্রিত্ব নিয়ে কিছুটা সংশয় ছিল। তিনি মন্ত্রী হলে বিরোধীদের তরফে তোপ দাগা হতে পারে যে তাহলে গেরুয়া শিবির বারলার তোলা পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবিকে সমর্থন করছে। এই একটা ইঙ্গিত ছিল। তবে উত্তরবঙ্গ বর্তমানে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। সেই ঘাঁটি আরও শক্ত করতে সেখান থেকে তাই দুই জনকে মন্ত্রী করা হল। এই আবহে বাংলা থেকে কেন্দ্রে মোট চারজন মন্ত্রী হবেন। ইতিমধ্যেই একাধিক মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। যাঁদের মধ্যে বাংলার দুই প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন।অজকের পদত্যাগী মন্ত্রীদের তালিকায় রয়েছেন বাংলার দেবশ্রী চৌধুরী ও বাবুল সুপ্রিয়। রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী ২০১৯ সাল থেকে নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। আর আসানসোলের সাংসদ বাবুল পরিবেশ, বন ও জয়বায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।উল্লেখ্য, মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনা ছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদলের আগে এদিন নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক হয়। সেই মতো এদিন প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সম্ভাব্য মন্ত্রীরা গিয়ে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে। সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও ছিলেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন যাঁরা নতুন মন্ত্রী হতে পারেন, তাঁদের অনেকে। সেই তালিকায় বাংলার শান্তনু ঠাকুর, নিশীথ প্রামাণিকদের পাশাপাশি ছিলেন সর্বানন্দ সোনোওয়াল, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মতো নাম। এরপরই সকাল থেকে মোদী মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য ইস্তফা দিতে শুরু করেন।