শিশির গুপ্ত
যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সংস্থার প্রধানরা যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করছেন, এ এক বিরল দৃশ্য𝄹। তবে সম্প্রতি এমনটাই ঘটেছে।♔ এবং দুই দেশের নিরাপত্তা সংস্থার প্রধানরা গোটা বিশ্বকে চিন নিয়ে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন। গত বুধবারের এই সাংবাদিক সম্মেলনে দুই সংস্থার প্রধানই জানান, পশ্চিমা প্রযুক্তি চুরি করার চেষ্টা করছে চিন। লবি এবং টাকার জোরে চিন বিভিন্ন দেশের সরকারের নীতিকে প্রভাবিত করতে চাইছে বলেও দাবি করেন দুই দেশের গোয়েন্দা প্রধান।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমের মতে এই যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনের পর ভারতের মোদী সরকারের ‘জেগে ওঠা উচিত।’ প্রসঙ্গ🦩ত, এই বছরই তৃতীয়বারের জন্য চিনা প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন শি জিনপিং। এবং তৃতীয়বারের মতো গদিতে বসলে জিনপিং চিনা বিদেশ নীতির মাধ্যমে আরও প্রভাব বিস্তার করতে চাইবেন। চ꧟িনা প্রভাব বিস্তার এর থেকেই বোঝা যায় যে কোনও মুসলিম দেশই চিনের উইঘুর মুসলিমদের অত্যাচার নিয়ে সোচ্চার নয়।
এদিকে ভারতেও অনেকেই চিনকে নিয়ে উদ্বিগ্ন। যেভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চিন ক্রমশ যেভাবে পরিকাঠামো নির্মাণ করছে তা নজর এড়াচ্ছে না ভারতের। এদিকে চিন যেখানে লাদাখ নিয়ে অনড় অবস্থানে দাঁড়িয়ে, সেখানে মোদী সরকারের সামনে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে একের পর এক চ্যালেঞ্জ উঠে আসছে। এই সব অস্থির পরিস্থিতির নেপথ্যে কোনও বিদেশি ‘হাত’ আছে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ ক্রমেই দানা বাঁধছে। এই পরিস্থিতির ফায়দা যে চিন তুলতেই পারে, তা আশঙ্কা করছে অনেকেই। তাইওয়ান নিয়ে চিনের অবস্থান যে অরুণাচলেও দেখা যাবে না, তা কেউ বলতে পারে না।𝕴 এদিকে চিন যেখানে থিয়েটারাইজেশনের পথে এগিয়েছে, সেখানে ভারত🐼ীয় সেনা এখনও থিয়েটারাইজেশনের ছক কষে উঠতে পারেনি। ভারত যদি বৈশ্বিক শক্তি হওয়ার আকাঙ্খা পূরণ করতে হয় তাহলে তাকে অবশ্যই অভ্যন্তরীণ সমস্যা শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে হবে এবং বাইরের হুমকির দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।