শ্রুতি তোমর
মধ্যপ্রদেশে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে? দলীয় ভাবে কোনও নির্দিষ্ট ঘোষণা হয়নি। তবে শুক্রবার এক জনসভায় বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং ইন্দোর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী কৈলাশ বিজয়🍨বর্গীয় ইঙ্গিত দিয়েছেন,𝓡 তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে রয়েছেন ।
জনসভা থেকে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন,'আমি শুধু বিধায়ক হওয়ার জন্য ইন্দোর-১ এ দাঁড়াইনি। আমি দল থেকে আরও বড় দায়িত্ব পাব। আমি আরও বড় কাজ করব।' কী 'বড় কাজ' তার ব্যখ্যা তিনি করেননি। তবে অন্য সভায় তিনি বলেন, জেতার পর নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে যদি সময় দিতে না পারেন, কবে মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপাল থেকে তিনি নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে উপর নজর রাখবেন। খুব স্বাভাবিক ভ𒅌াবে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের এই বক্তব্যের পর কর্মীরা বুঝতে পারেন মধ্যপ্রদেশের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। তাঁর এই বক্তব্যের পর কর্মীদের মধ্যে উল্লাসও লক্ষ্য করা গিয়েছে।
মধ্যপ্রদেশে নভেম্বর ও ডিসেম্বরে বিধানসভাকর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে ♎কাউকে মুখ্যমন✱্ত্রী পদপ্রার্থী না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদীকেই ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াই করবে দল।
কৈলাস বিজয়বর্গী-সহ তিনজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও দলের আট শীর্ষ নেতাকে মধ্যপ্রদেশে ভোটে টিকিট দিয়েছে বিজেপি। দু𝄹ই দফায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে গেরুয়া শিবির। কৈলাস নিজেই জানিয়েছিলেন, দ্বিতীয় তালিকাতে তাঁর নাম থাকবে কি তা তিনি জানেন না।
২০১৪ সাল থেকে হরিয়ানা এবং পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে থাকার পর তিনি ফের মধ্যপ্রদেশে ফিরে আসেন ২০২২ সালে। দলের এক বর্ষিয়ান নেতা জানান, রাজ্যের ফের বিজেপি ক্ষমতায় এলে কৈলাস বিজয়বর্গীয়ই মুখ্যমন্ত্রী হবেন। তিনি বলেন, 'গত চারটি নির্বাচনের মধ্যে এই প্রথমবার বিজেপ🐻ি কোনও মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেননি।' কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর, ফাগ্গান সিং কুলাস্তে এবং প্রহ্লাদ প্যাটেল সহ মধ্যপ্রদেশের সমস্ত সিনিয়ার নেতাদের টিকিট দিয়েছে দল।
প্রচারে বিজয়বর্গীয় ঘোষণা করেন, তিনি বুথ নেতাদের ৫১,০০০ টাকা করে দেবেন, যদি সেই বুথে কংগ্রেস একটি ভোটও না পায়। বিಌজেপির পক্ষ থেকেই এই টাকা দেওয়া হবে। ইন্দোরে ১-এ কংগ্রেসের বর্তমান বিধায়ক সঞ্জয় শুক্লার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন বিজয়বর্গীয়। তাঁর ছেলে আকাশ বিজ🔯য়বর্গীয় ইন্দো ৩ আসনের বিধায়ক।
বিজয়বর𒐪্গীয়র এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কংগ্রেস বলেছে, বিজেপির আসলে সব প্রবীণ নেতারাই মুখ্যমন্ত্রী কুর্সীর দাবিদার। দলের মিডিয়া ইনচার্জ কেকে মিশ্র বলেন, 'বিরোধীদের হারানোর জন্য এই সব বলে বিজেপি ক্ষমতার বিরুদ্ধে হাওয়াকে আটকে দিতে চাইছে। কিন্তু তারা যে সফল হবে না।'