স্বামী যদি জানেন যে স্ত্রী মানসিকভাবে অসুস্থ এবং তাঁর চিকিৎসার প্রয়োজন, তাহলে স্ত্রীর ভরণপোষণ প্রদান করা স্বামীর কর্তব্য। যদি স্বামীর আয় মাসে ৭ লক্ষ টাকা হয়,স্ত্রী'র মানসিক চিকিৎসার জন্য ৬০ হাজার টাকা মাসিক ভরণপোষণ খুব একটা বেশি নয়। সম্প্রতি, এক দম্পতির ডিভোর্স মামলার রায় দিতে🐭 গিয়ে এমনটাই জানিয়েছে কর্ণাটক হাইকোর্ট।
২০০২ সালের এপ্রিল মাসে বিয়ে করেন এই দম্পতি। টানা ১৪ বছর সংসার ২০২২ সালে স্বামী ম্যাঙ্গালুরু পারিবারিক আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল ২০১৬ সাল থেকেই তাঁদের সম্পর্ক ভীষণ তিক্ত হয়ে গিয়েছে, গত ১৫ বছরে তিনি বুঝেছেন যে তাঁর স্ত্রী সর্বদা বিষন্নতায় থাকেন, তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ এꦓবং থেরাপিতে রয়েছেন।
এরপর বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলাকালীন স্ত্রী প্রতি মাসে ১.৫ লক্ষ টাকা ভরণপোষণ দাবি করেছিলেন। স্ত্রী জানিয়েছিলেন, তাঁর স্বামী তখন প্রতি মাসে ৫ লক্ষ টাকা আয় করছিলেন। তাই ১.৫ লক্ষ টাকা প্রতিඣ মাসে ভরণপোষণ বাবদ দিতে হবে।
এরপর পারিবারিক আদালতটি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে দুই পক্ষেরই দাবির ভিত্তিতে স্ত্রীয়ের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি মাসে ৬০,০০০ টাকা নির্ধারণ করেছিল। পারিবা🧔রিক আদালতে এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে স্বামী বলেছিলেন যে টাকার পরিমাণ বেশি ছিল। তিনি তাঁর স্ত্রীর সাথে ১৫ বছর কাটিয়েছেন এবং তাকে ভালভাবে জানেন এবং যেহেতু তিনি এখন মানসিকভাবে অসুস্থ, তাই এই টাকা দেওয়া উচিত হবে না।
তারপরে স্বামী𝔉 আদালতের এই সিদ্ধান্ত মেনে না নিয়ে সরাসরি হাইকোর্টে আবেদন দাখিল করেছিলেন। যথারীতি কেস হাইকোর্টে যাওয়ার পর পারিবারিক আদালতের আদেশ অধ্যয়ন করে, বিচারপতি নাগপ্রসন্ন স্বামীর আর্থিক অবস্থা খতিয়ে দেখেন এবং এটা বলেন যে স্ত্রীর কোনও স্বাধীন আয় নেই, যেহেতু 🀅তিনি একজন বাড়িতেই থাকতেন।
আর সেই কারণেই হাইকোর্টের বিচারপতির দাবি, স্বামী যদি জানেন যে তাঁর স্ত্রী মানসিকভাবে অসুস্থ এবং তার বিষন্নতার জন্য চিকিত্সার প্রয়োজন, তাহলে ভরণপোষণ প্রদান করা স্বামীর কর্তব্য। এক্ষেত্রে তো স্বামীর আর্থিক অবস্থা তো এতটাও খারাপ নয় যে স্বামী অর্থ প্রদানের অবস্থায় নেই। তাছাড়া সারা দিনের পর বাড়ি ফিরে স্বামীর সুবিধার জন্য বাড়ির প্রতিটি ꦺকাজ একা হাতে সামলে নেওয়া স্ত্রীয়ের এই টাকা প্রাপ্য। এদিন এমনটাই ঘোষণা করেছেন বিচারপতি নাগপ্রসন্ন।