কেরলের নরবলির ঘটনায় নড়ে বসেছে গোটা দেশ। জানা গিয়েছে ঘটনায় অভিযুক্ত দম্পতি পুলিশি জেরায় স্বীকার করেছে যে তারা মৃতদেহের বিশেষ অংশের মাংস রান্না করে খেয়েছে। সেই নরমাংস ভক্ষণ ক🌳রা ব্যক্তি এককালে সিপিএম-এর হয়ে কাজ করত বলে দাবি করলেন এরিয়া কমিটির সম্পাদক পিআর প্রদীপ। পুলিশ সূত্রে খবর, তুকতাক, কালাজাদু করার জন্য মহম্মদ সফি ওরফে রশিদ নামে এক ব্যক্তি রাজি করেছিল এই দম্পতিকে। অভিযুক্ত ভাগওয়াল সিং এবং তার স্ত্রী লয়লার বয়ানে ঘটনার বিভীষিকা প্রকাশ পাচ্ছে ধীরে ধীরে। এই আবহে পাঠানমথিত্তার সিপিএম এরিয়া কমিটির সম্পাদক দাবি করেন, অভিযুক্ত ভাগওয়াল সিপিএম করত এককালে।
বাম নেতা প্রদীপ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছে, ‘তিনি (ভাগওয়াল সিং) একসময় একজন প্রগতিশীল মানুষ ছিলেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর তিনি একজন ধার্মিক ব্যক꧙্তিতে পরিণত হন। এটা তার স্ত্রীর (লয়লা) প্রভাব হতে পারে।’ এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ বলেছে, যা যা অত্যাচার করা হয়েছে, তা আমরা বলে বর্ণনা করতে পারব না।
জানা গিয়েছে, সংসারে সুখ পেতে দুজন গরিব লটারি বিক্রেতাকে অপহরণ করে হত্যা করে ম🌱াটির তলায় পুঁতে দিয়েছিল ভাগওয়াল ও লয়লা। তাদের সাহায্য করেছিল ‘এজেন্ট’ সফি। পুলিশ জানিয়েছে, একটি মৃতদেহর ৫৬টি টুকরো করা হয়েছিল। প্রথম খুনটা হয় জুন মাসে। দ্বিতীয়টি সেপ্টেম্বরে। রোজেলিন নামক মহিলাকে খুন করা হয় জুনে। পদ্মা নামক মহিলাকে খুন করা হয় সেপ্টেম্বরে। তাদের বয়স ৫০-৫২ বছরের মধ্যে। পুলিশ জানায়, খুন করে মহিলাদের স্তন কেটে মাটিতে ফেলে রাখা হত। যতক্ষণ না শরীর থেকে পুরো রক্ত বয়ে যেত, ততক্ষণ সেভাবেই মাটিতে ফেলে রাখা হত দেহ। শুধু তাই নয়, খুনের আগে মহিলাদের যৌনাঙ্গে ছুরি ঢুকিয়ে অকথ্য অত্যাচারও চালানো হয়। এদিকে পুল🐷িশ কর্তা জানিয়েছেন, জেরায় ধৃত দম্পতি নরমাংস ভক্ষণের কথা স্বীকার করলেও এর প্রেক্ষিতে প্রমাণ দরকার। ফরেনসিক দল প্রমাণ ও নমুনা সংগ্রহের কাজ করছে।