রমেশবাবু
উপকূলীয় বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠেছিল কেরলের আলাপুঝাতে একটি বিলাসবহুল রিসর্টের বিরুদ্ধে। প্রায় ১৪ বছর ধরে চলেছিল আইনি লড়াই। অবশেষে বৃহস্পতিবার থেকে পানাভালি আইল্য়ান্ডে সেই রিসর্ট ভাঙার কাজ শুরু হয়ে গেল। আলাপুঝা ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর কৃষ্ণা তেজা জানিয়েছেন, রিসর্টের মালিকপক্ষের তরফে এট𝓀ি ভাঙার খরচ দিতে হবে। ব্যাকওয়াটারকে ক্ষতিগ্রস্ত না করেই তাদের যাবতীয় সামগ্রী সরিয়ে নিতে হবে।
এদিকে একটি ছোট্ট দ্বীপে রয়েছে এই রিসর্ট। সেই রিসর্ট ভাঙতে অন্তত ৬ মাস সময় লাগবে। তবে প্রথম দিনই দুটি ভিলাকে ভেঙে ফেলা হয়েছে। কিছু ভিলাতে সুইমিং পඣুল ছিল। একরাতে সেই ভিলার ভাড়া ছিল ৫৫ হাজার টাকা। তবে ২০১২ সালেই এই রিসর্ট তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আইনি জটিলতায় এটি চালানো যাচ্ছিল না।
এদিকে প্রকৃতি প্রেমিকদের দাবি, এই রিসর্ট ভাঙতে গিয়ে জলভাগের ক্ষতি হতে পারে। ব্যাপক দুষণ ছড়াতে পারে। তবে মৎস্যজীবীরা 🐼অত্যন্ত খুশি। তাঁদের দাবি দীর্ঘ লড়াইয়ের শেষে তাঁরা 💧আশার আলো দেখছেন।
পি সিলান নামে এক আবেদনকারী বলেন, আমরা বি💦শাল শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইতে নেমেছিলাম। কতবার ওরা ভয় দেখিয়েছে। আমাদের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে আমরা হ্রদটিকে বাঁচাতে চেয়েছি। প্রথমে মাত্র পাঁচজন মৎস্যজীবী এই রিসর্টের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু ক⛄রেছিলেন।
আবেদনকারীরা জানিয়েছেন, অনেকেই ভেবেছিলেন টাকা থাকলেই সব করা যায়। কিন্তু সেকথা মিথღ্যে💃 প্রমাণিত হয়েছে। ওরা পাথর দিয়ে লেকের অংশ বুজিয়ে ফেলার চেষ্টা করছি♈ল। আমরা আজ গর্বিত। সুপ্রিম কোর্টের বিচার ব্যবস্থার কাছে আমর𒀰া কৃতজ্ঞ।
প্রসঙ্গত মুথহুট ও কুয়েতের ক্যাপিকো গ্রুপ ৫৪টি আধুনিক ভিলা তৈরি করেছিল ওই দ্বীপ🦩ে। দেখা গিয়েছে ৩.৬ একর জমির উপর এটা হওয়ার কথা ছিল। ২০১২ সালে দেখা যায় ১০.৩ একর জমিতে তারা রিসর্ট বানাচ্ছে। তবে মালিকপক্ষ এনিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।