ভারতের ইতিহাসে নয়ডার সুপারটেক টুইন টাওয়ার ধ্বংস একটি বড় অধ্যায় হয়ে থাকবে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণের নিরিখে। এই দুরুহ কর্মকাণ্ড যে বিনা কোনও ক্ষয়ক্ষতিতে হয়েছে তার কৃতিত্ব বহু অংশেই প্রশাসন ও প্রযুক্তিবিদদের দিকে যায়। কিন্তু এমন এক আকাশচ🌺ুম্বী ইমারতকে চোখের সামনে ভেঙে দেওয়ার পর কেমন ছিল সেই ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতিক্রিয়া যাঁরা নিজের হাতে এই ইমারত ভেঙে ফেলার বোতামটি টিপেছিলেন? বর্ণনা করলেন চেতন দত্ত। যিনি ওই ইঞ্জিনিয়ারদের টিমের অন্যতম।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নয়ডায় বেআইনিভাবে তৈরি হওয়া সুপারটেক টুইন টাওয়ারকে ভেঙে দেওয়া হয়। এক নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণের সাহায্যে এটি করা হয়। তবে কাজটি মোটেও সহজ ছিল না। চোখের সামনে ইমারত যখন ভাঙছে ‘ বোতাম টেপার পরই আমি আমার মাথা তুলে তখন দেখছিলাম, টুইন টাওয়ারের ভেঙে পড়া। যখন সবকিছু ভেঙে পড়ল আমি আমার টিম ধোঁয়ার কুণ্ডলীর ভয়ে অপেক্ষা করিনি, আগে ছুটে গিয়েছি, আশপাশের এমারেল্ড কোর্ট এটিএস ভিলেজ ঠিক আছে কিনা দেখতে।’ বলছেন এডিফিস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ইঞ্জিনিয়ার চেতন দত্ত। তিনি বোতাম টেপার পরই ভেঙে পড়ে ওই ইমারত। কলা খেয়ে খোসা টু𒆙ক করে ফেলে দেন তো! ধবধবে দাঁত, নরম ত্বক পেতে কাজে দেবে ওই খোসাই
সাইরেন বেজে ওঠার পর কেউ কারোর সঙ্গে কথা বলেননি। অপেক্ষা ছিল সেই অন্তিম মুহূর্তের। সব কিছুর সাফল্যের পর চোখে জল আসে চেতন দত্ত সহ বাকি ইঞ্জিনিয়ারদের। বলছেন খোদ চেতন দত্ত। সেই অশ্রু ছিল স্বস্তির। এই এতবড় নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি তারজন্য তাঁরা স্বস্তি বোধ করেন। চেতন দত্ত বলছেন, ‘বিস⛦্ফোরণ ১০০ শতাংশ সফল।’ তাঁরা বলছেন গোটা বিষয়টিই হুবহু তাঁদের পরিকল্পনা মাফিক হয়েছে।