২০১৫ সালে তিরুবনন্তপুরমে চালু হয় সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দূতাবাস। কিছু দিনের মধ্ജযে সেখানে দায়িত্বরত এক হেড কনস্টেবল-সহ চার পুলিশকর্মীকে ডেকে পাঠিয়ে সাসপেন্ড করার হুমকি দেন অতিরিক্ত ডিজিপি। তাঁদের অপরাধ, দূতাবাসের ‘উচ্চপদস্থ’ কর্মী স্বপ্না সুরেশকে স্যালুট না করা।
অমার্জনীয় সেই অভব্যতার কারণে বদলি করা হয় চার পুলিশকর্মীকেই। অনেক সংগ্রাম করে চ🔴ার জনের সাসপেনশন রোখে পুলিশকর্মী সংগঠন। জানা যায়, ক্ষমতার অলিন্দ্যের অনেক উঁচু থেকে চার কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছিল। বলা বাহূল্য, এর পরে এমন ভুল কোনও পুলিশকর্মীই করতে সাহস পাননি।&n🍸bsp;
তিরুবনন্তপুরম সোনা পাচারকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত, বর্তমানে ওই মামলায় আটক স্বপ্না সুরেশের (৪২) জীবনকাহিনি পুরোটাই রহস্যে মোড়া। শক্তিশালী আমলাতন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে কী ভাবে ধাপে ধাপে ক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছতে হয়, 🌜তার উজ্জ্বল উদাহরণ কেরালা প্রশাসনের পয়লা সারিতে স্বপ্নার উত্থান। স্বাভাবিক কারণেই, এই মহিলা তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা গ্রেফতার হওয়ার পরে তাঁর ঘনিষ্ঠ অনেক হোমরাচোমরাই এখন মুখ লুকানোর আড়াল খুঁজছেন।
আরও পড়ুন: কেরালা সোনা পাচারকাণ্ডে গ্রেফতꦿার স্বপ্না ও সন্দীপ, উঠল পুলিশি যোগসাজসের অভিযোগ
২০১৪-১৫ কাজ করার পরেই আমিরশাহি দূতাবাস থেকে বিদায় নেন স্বপ্না। এবার তাঁকে দেখা যায় এয়ার ইন্ডিয়া ও স্যাটস সংস্থার যৌথ প্রকল্পের উঁচু পদে। ২০১৬ সালে তাঁর কোপে পড়েন এয়ার ইন্ডিয়ার গ্রাউন্ড সার্ভিস অফিসার এল এস শিবু। শোনা যায়, ১৭ জন মহিলা ক𝐆র্মীর সই জাল করে শিবুর বিরুদ্ধে নারী হেনস্থার অভিযোগ আনেন স্বপ্না। তার জেরে সাসপেন্ড করকা হয় ওই অফিসারকে। প্রায় তিন বছরের কঠিন আইনি লড়াইয়ে নিজের ঘাড় থেকে কলঙ্কের বোঝা নামাতে সফল হন🐓 শিবু, যখন আদালতে স্বপ্নার সই জাল করার কুকীর্তি প্রমাণিত হয়।
কেরালা হাইকোর্টের নির্দেশে স্বপ্নাꦓর বি🀅রুদ্ধে প্রতারণার মামলা করে কেরালা পুলিশ, তবে শেষমেষ তা ধামাচাপা পড়ে। ওয়াকিবহাল সূত্রের দাবি, এ ক্ষেত্রেও নিজের হাই প্রোফাইল যোগাযোগ কাজে লাগিয়েছিলেন স্বপ্না সুরেশ।
শুধু মামলা এড়ানোই নয়, এমন গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও এর পরে তাঁকে ফের উঁচু পদে বহাল করে কেরালা প্রশাসন। ২০১৮ সালে রাজ্য তথ্য প্রযুক্তি দফতরে আইটি উপদেষ্টা হিসেবে স্বপ্নার নিয়োগও যে স্বাভাবিক পথে হয়নি, তা তিরুবনন্🎐তপুরমের অজানা নয়। এই পদে থাকালীনই সোনা পাচার চক্রের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের অভিযোগ ওঠে গত রবিবার তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরে সংযুক্ত আমিরশাহি থেকে সে দেশের কনস্যুলার অফিসে পাঠানো পণ্য থেকে ৩০ কেজি সোনা উদ্ধার করে শুল্ক দফতর। আর তার পরেই গা-ঢাকা দেন রাজ্য তথ্য প্রযুক্তি দফতরের অধীনে থাকা কেরালা রাজ্য তথ্য প্রযুক্তি পরিকাঠামো লিমিটেড সংস্থায় অপারেশনাল ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত স্বপ্না সুরেশ।
আরও পড়ুন: সোনা পাচার কাণ্ডে জড়াল নাম, বদলি কেরালার মুখ্যমন্ত্রীর প্রি🐷ন্সিপাল🀅 সেক্রেটারি
শনিবার তাঁকে বেঙ্গালুরুর হোটেল থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও লকডাউনের ঘেরাটোপ এড়িয়ে কী ভাবে তিনি পড়শি রাজ্যে পৌঁছলেন, তাই নিয়ে🏅 প্রশ্ন তুলেছে বি🤡জেপি ও কংগ্রেস।
সম্পর্কচ্যুত এক ভাই দাবি করেছেন, দশম শ্রেণির পরীক্ষাও পাশ করেননি স্বপ্না। মহারাষ্ট্রের যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বি কম ডিগ্রির সুবাদে তাঁর চাকরির চৌকাঠে পা রাখা, সেই ডক্টর বাবাসাহেব অম্বেদ🔯কর টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্💙সিটি জানিয়েছে, সেখানে ওই কোর্স পড়ানো হয় না, কোনও দিন হয়ওনি। অর্থাৎ, ডিগ্রিটি জাল। অথচ উচ্চপদে বার বার আসীন হওয়া স্বপ্নার এই প্রতারণা যাচাই করার কথা মনে হয়নি কোনও দফতরেরই।
কী কারণে তাঁর প্রতি এই চিরকালীন পক্ষপাতিত্ব, আপাতত সেই অজানা শিকড়ে💙র সন্ধানে নেমেছে এনআইএ। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগের তদন্তও মাঝপথে বানচাল করে দেবে কি স্বপ্না-ম্যাজিক? উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছে সারা দেশ।