একজন মহিলার নগ্ন বা অর্ধনগ্ন দেহ ও একজন পুরুষের নগ্ন বা অর্ধ নগ্ন দেহের মধ্যে꧒ সমাজ দৃষ্টিকোণগত যে ফারাক করে, তা নিয়ে এদিন গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ এল কেরল হাইকোর্টের তরফে। কেরল হাইকোর্টের বিচারপতি কৌসর এডাপ্পাগত বলেছেন, 💮নগ্নতাকে আপনাআপনি যৌনতা হিসাবে বিবেচনা করা ঠিক নয়, তা পরিস্থিতি, প্রেক্ষাপটের বিচারে বিবেচনা করা উচিত।
কেরল কোর্টের পর্যবেক্ষণ বলছে, কোনও মহিলার নগ্ন দেহকে তাঁর যৌনতা বা অশ্লীলতার শামিল হিসাবে দেখা ঠিক নয়। কেরলের হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ বলছে, ‘নগ্নতা যৌনতার সঙ্গে আবদ্ধ নয়। কোনও মহিলার উর্ধ্বাঙ্গ অনাবৃত থাকলে তাকে যৌনতা হিসাবে দেখা ঠিক নয়। সেই দিক থেকে কোনও মহিলার নগ্ন দেহ আঁকা তকমার নিরিখে অশ্লীল, বা শ্লীলতার বাইরে বা যৌন বলাটা ঠিক নয়।’ উল্লেখ্য, যে মামলা ঘিরে কেরল কোর্টের পর্যবেক্ষণ এসেছে, তা হল এক আঁকার ভিডিয়ো কেন্দ্র করে। এক মহিলা সমাজক♕র্মী রেহানা ফতিমার বিরুদ্ধে তাঁরই এক ভিডিয়ো নিয়ে মামলা যায় পকসো আইনে। তাঁর সন্তানদের জন্য ওই মহিলাকে ওই ভিডিয়োতে অর্ধনগ্ন হিসাবে দেখা যায়। সেই ভিডিয়ো ঘিরেই এই গোটা মামলা চলে। সেই মামলা থেকে রেহানাকে মুক্তি দিয়েছে কোর্ট। তারপরই কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে এই বার্তা দেয়। কোর্ট বলছে, ওই ভিডিয়োর দৃশ্যে, ওই মহিলা, তাঁর অর্ধনগ্ন দেহকে তাঁর শিশুদের আঁকার জন্য ক্যানভাস হিসাবে ব্যবহার করতে দিয়েছেন মাত্র। এর আগে, ফাতিমাকে ওই মামলায় এক নিম্ন আদালত রেহাই দেয়নি। তারপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ফাতিমা।
উল্লেখ্য়, এই ইস্যুতে দেহের উপর পুরুষের স্বতন্ত্র ও মহিলাদের স্বতন্ত্রের মধ্যে ফারাক করা সমাজিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রসঙ্গ তোলে কোর্ট। কোর্ট বলছে, যে মামলা ঘিরে এই প্রসঙ্গ উঠেꦑছে, সেটি মহিলার রাজনৈতিক ও শৈল্পিক অভিব্যক্তি। নগ্নতাকে যৌনতা হিসাবে বিবেচনা করা ভুল, বলে পর্যবেক্ষণ পেশ করে কোর্ট। এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরতে গিয়ে কোর্ট, প্রসঙ্গ তোলে ব্রিটিশ আমলে ‘ব্রেস্ট ট্যাক্স’ এর। যার প্রতিবাদে যে কর-কে মুলাক্করম বলা হত ব্রিটিশ শাসিত ভারতে। সেই করের প্রতিবাদে নিজের স্তন কেটে বিক্ষোভ জানিয়েছিলেন এক মহিলা।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড ক🐬রার লিঙ্ক