কেউ যৌনতায় অভ্যস্ত হলেই তাঁকে ধর্ষণের অপরাধ লঘু হয় না। বিশেষত একজন বাবা যখন এমন গর্হিত কাজ করে তাঁর সন্তানের সঙ্গে। এক নাবালিকাকে ধর্ষণের মামলায় এমনটাই জানাল কেরল হাইকোর্ট।অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ধর্ষণের শিকার ওই নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। অভিযুক্ত ব্যক্তি সেই দায় অস্বীকার করে। তবে ডিএনএ পরীক্ষায় জানা যায় অভিযুক্ত ব্যক্তিই দায়ী। এরপর হাইকোর্ট ওই ব্যক্তিকে দোষী সব্যস্ত করে। এই সময়ে পাল্টা দাবি করে ওই ব্যক্তি। তাতে বলা হয়, পুলিশের কাছে বয়ানে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক থাকার কথা স্বীকার করেছে তার মেয়ে। যৌনতা তার কাছে নতুন কিছু নয়। ফলে তার ধর্ষণের অপরাধ যেন লঘু করে দেখা হয়।এর উত্তরে আদালত জানায়, কেউ যৌনতায় অভ্যস্ত হলেই তাকে ধর্ষণের ঘটনা লঘু হয়ে যায় না। বিশেষত একজন বাবা যখন এই কাজ করে, তখন তা অত্যন্ত গর্হিত। আদালত জানায়, 'বাবারা মেয়েদের আশ্রয়। একজন বনরক্ষীর চোরাশিকার করা বা সরকারি কোষাগারের রক্ষীর লুঠেরা হওয়ার ঘটনার চেয়েও, কোনও বাবার পক্ষে মেয়েকে ধর্ষণ করার ঘটনা অনেক বড় অপরাধ।' হাইকোর্ট ওই ব্যক্তিকে ধর্ষণের মামলায় ১২ বছর এবং পকসো আইনে ১৪ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে।