‘মার্কস জিহাদ’ নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট করেছিলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক। সেজন্য তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি লিখলেন কেরালার উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী আর বিন্দু। তাঁর দাবি, কেরালাবাসীর মধ্যে বিভাজন তৈরির জন্য ওই অধ্যাপক ইচ্ছাকৃতভাবে সেই মন্তব্য করেছেন।চিঠিতে বিন্দু বলেছেন, রাজেশ কুমার পান্ডে নামে ওই অধ্যাপকের মন্তব্যের ফলে কেরালারকে নিয়ে অযাচিত সন্দেহ তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কেরালাবাসীর মধ্যে বিভাজন তৈরির জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে সেই অপমানসূচক মন্তব্য করা হয়েছে। অনিষ্টকর মন্তব্যের মাধ্যমেই তাঁর বিদ্বেষমূলক এবং অসহিষ্ণু মনোভাব একেবারে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।’ গত সপ্তাহে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভরতি প্রক্রিয়ার সময় বিতর্কিত পোস্ট করেছিলেন পান্ডে। কিরোরিমাল কলেজের পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক বলেন, ‘কেরালা শিক্ষা পর্ষদ থেকে সকলে ১০০ শতাংশ নম্বর পাওয়ার জন্যই শুধুমাত্র ২০ আসন থাকা একটি কোর্সে ২৬ জনকে ভরতি করতে হচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরে কেরালা শিক্ষা পর্ষদ মার্কস জিহাদ শুরু করেছে।’সেই পোস্ট ছড়িযে পড়তেই কেরালায় ক্ষোভের মাত্রা বেড়েছে। বিতর্কের আগুন বাড়তে থাকায় নিজের স্বপক্ষে সাফাই গেয়েছেন ওই অধ্যাপক। তাঁর দাবি, শুধুমাত্র কেরালার ‘অনুপযুক্ত মূল্যায়ন ব্যবস্থা’ নিয়েই মন্তব্য করেছিলেন। সেই পোস্টের জন্য ক্ষমা চাইবেন না। পোস্টও মুছে দেবেন না। পরে একটি মালায়ালি বৈদ্যুতিন চ্যানেলে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সম্পর্কযুক্ত শিক্ষক সমিতি ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক টিচার্স ফ্রন্টের সদস্য বলেন, ‘লাভ জিহাদ মানে আপনি কী বোঝাতে চান? এটার অর্থ হল যে নিজের ধর্ম বিস্তারের জন্য আপনি ভালোবাসার অপব্যবহার করছেন। বামপন্থী মতাদর্শ বিস্তারের জন্য যখন আপনি নম্বরের অপব্যবহার করেন, তখন সেটাকে মার্কস জিহাদ বলে। আমার কাছে বামপন্থা এবং জিহাদ একই। আমি ওই দুটির মধ্যে কোনও পার্থক্য করি না। জিহাদের একটি বিস্তৃত অর্থ আছে। তা শুধুমাত্র ধর্ম নয়। ’