সদ্য জল্পনা উঠে ছিল, উত্তর প্রদেশের বিজেপির অন্দরে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব মৌর্যর সম্পর্ক নিয়ে। ভোটের পর বিজেপির কার্যনির্বাহী সভায় সদ্য উপমুখ্যমন্ত্রী মৌর্যর মন্তব্যে, সরকার আগে না সংগঠন আগে, তা নিয়ে প্রশ্ন উস্কে যায়। এরপর নড্ডার সঙ্গে মৌর্💯যর সাক্ষতের জেরে প্রশ্ন উঠছিল, মৌর্যর সঙ্গে যোগীর সম্পর্ক নিয়ে। এরপর মোদীর সঙ্গে স𒅌মস্ত বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠক হয়। তারপর সদ্য যোগী আদিত্যনাথের কথার সুরে সুর মিলিয়ে কেশব প্রসাদ মৌর্য বলছেন, উত্তর প্রদেশে বিজেপির খারাপ ফলের কারণ ‘ওভার কনফিডেন্স’। যদিও আগে মৌর্য বলেছিলেন, ‘সরকারের থেকে বড় সংগঠন।’
উত্তর প্রদেশে লোকসভা ভোটে ২০২৪ সালে বিজেপির ঝুলিতে এসেছে ৩৩ টি আসন। যেখানে ২০১৯ সালে তা ৬২ টি ছিল। এই খারাপ ফলের কারণ হিসাবে যোগী আদিত্যনাথ আগে বলেছিলেন,'ওভার কনফিডেন্স' ই হল হারের কারণ। আর সেই সুরে সুর মিলিয়ে কেশব প্রসাদ মৌর্য বললেন, ‘🐷দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এবং দল জয়ী হয়। সরকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে না, দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ওভার কনফিডেন্সের (অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের) কারণে লোকসভা নির্বাচনে আমরা প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারিনি।’ বিজেপির ওবিসি মোর্চার বৈঠকে এই বার্তা দেন উত্তর প্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী।
( Jai🎃shankar on Russia-Ukraine:‘ইউক্রেন, রাশিয়ার সঙ্গে আমা𝄹দের আরও যোগাযোগ চলবে’, যুদ্ধের মাঝে ইঙ্গিতবহ বার্তা জয়শঙ্করের)
এর আগে, বিজেপির রাজ্য কার্যনির্বাহী বৈঠকে গত ১৪ জুলাই কেশব মৌর্য বলেন, ‘সরকারের থেকে চিরকালই বড় হল সংগঠন। ৭ কালিদাস মার্গে আমার দরজা সবার জন্য খোলা।’ কেশব মৌর্যর এই বার্তায় বেশ কিছু প্রশ্ন ওঠে। কারণ সেই এরই বৈঠকে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘2024 সালে, বিজেপি আগের নির্বাচনের মতো একই ভোট শতাংশ পেতে সক্ষম হয়েছিল, কিন্তু ভোটের পরিবর্তন এবং অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস আমাদের প্রত্যাশাকে আঘাত করেছে। বিরোধী দল, যা আগে ভেন্টিলেটরে ছিল, এখন কিছুটা অক্সিজেন পেয়েছে।’ প্রশ্ন ওঠে, দল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীর দুই আলাদা ধরনের বার্তা নিয়ে। প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি যোগী আদিত্যনাথ ও কেশব মৌর্যর মধ্যে সংঘাত রয়েছে? এই জল্পনায় কার্যত জল ঢেলে সামনে এল কেশব মৌর্যর নয়া বার্তা। বেশ কিছু🔯 রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল যে দলের রাজ্য ইউনিটে বহুল আলোচিত ফাটল ঠেকাতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল। এই সমস্ত পর্বের পদ কেশব প্রসাদ মৌর্য বলেন, ‘আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে এই ভুল ২০২৭ সালে পুনরাবৃত্তি না হয়।’ তিনি এও বলেন যে, ‘মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে যা চলছে তার দ্বারা প্রভাবিত হবেন না… বিজেপিতে তার ঠিক উল্টোটা ঘটল।’