অমৃতপাল সিং🍎য়ের বিরুদ্ধে পঞ্জাব পুলিশের অভিযানের পর বিগত ১৯ মার্চ লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনে 'হামলা' চালিয়েছিল খালিস্তানপন্থীরা। বিচ্ছিনতাবাদী মনোভাবাপন্নদের সেই কর্মসূচির মাথায় ছিল খালিস্তান লিবারেশন ফোর্সের প্রধান অবতার সিং খান্ডা। সেই অবতার সিংয়েরই মৃত্যু হয়েছে বার্মিংহামের এক হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, আজই বার্মিংহামের স্যান্ডওয়েলে এক হাসপাতালে মৃত্যু হয় অবতার সিংয়ের। যদিও তার মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। উল্লেখ্য, এই অবতার সিং রাজনৈতিক আশ্রয়ে ব্রিটেনে বসবাস করত। ব্রিটেনে বসবাসরত শিখদের খালিস্তানি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এদিকে অমৃতপালের হ্যান্ডলারও ছিল এই অবতার।
অবতারের বাবা নিজে খালিস্তা🧜ন লিবারেশন ফোর্সের জঙ্গি ছিল। ১৯১ সালে ভারতের নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিকে মারা গিয়েছিল অবতারের বাবা।🦂 এছাড়া অবতারের মায়ের সঙ্গে খালিস্তানি জঙ্গি গুরজন্ত সিং বুধসিংওয়ালারও যোগাযোগ ছিল। এদিকে অবতারের মৃত্যু ঘিরে রহস্য ঘনিয়ে এসেছে। ব্রিটেন থেকে জানা গিয়েছে যে অবতরারের অনুগামী অভিযোগ করছে যে তাকে বিষ খাইয়ে মারা হয়েছে। এমনকী মেডিক্যাল রিপোর্টে বিষক্রিয়ার উল্লেখ করার জন্য হাসপাতালের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। অবতারকে 'শহিদ' ঘোষণা করার জন্যই তার মৃত্যু ঘিরে রাজনীতি চলছে। অবতারের অনুগামীদের অভিযোগ, ভারতীয় এজেন্সি অবতারের মৃত্যুর জন্য দায়ী। যদিও জানা গিয়েছে, অবতার ব্লাড ক্যানসারে ভুগছিল এমনিতেই। প্রায় ১৪ দিন আগে বার্মিংহামের স্যান্ডওয়েল হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল তাকে।
এদিকে সম্প্রতি সিসিটিভি ফুটেজ থেকে অবতার সিং এবং আরও তিন খালিস্তানি জঙ্গিদের চিহ্নিত করেছিল এনআইএ। লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনে জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগ এ๊ই খালিস্তানিদের বিরুদ্ধে। এই আবহে এই খালিস্তানপন্থী বিক্ষোভকারীদের ছবি প্রকাশ করে এনআইএ। কেন্দ্রী সংস্থা আম জনতার কাছে আবেদন জানায়, যদি কেউ এদের বিষয়ে কোনও তথ্য জেনে থাকেন, তাহলে তা যেন সংস্থাকে জানানো হয়। এদিকে জানা গিয়েছে, ১৯ মার্চ যে ভারতীয় হাইকমিশনের বাইরে খালিস্তানিদের তাণ্ডব চলবে তা নিয়ে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই-৫-কে আগেভাগেই সতর্ক করেছিল ভারত। তা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাবে ভারতীয় হাইকমিশনের কম্পাউন্ডে ঢুকে পড়ে খালিস্তানপন্থীরা। ভারতীয় জাতীয় পতাকার অবমাননা করে তারা। সেই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সোশ্যাল ꦚমিডিয়ায়। ব্রিটেনকে 'শিক্ষা' দিতে ভারতও নয়াদিল্লিতে ব্রিটিশ হাইকমিশনের সামনে থেকে নিরাপত্তারক্ষীদের সরিয়ে নেয়। ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বাসভবনের সামনে থেকেই নিরাপত্তা সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে লন্ডনের ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিলেও ব্রিটেনের তরফে সেরকম কিছুই করা হয়নি।