ওড়িশায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ল কলকাতাগামী বাস। জানা গিয়েছে, বাসটি পুরী থেকে কলকাতা আসছিল। ওড়িশার জাজপুরে সেই যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনার জেরে বাসের অন্তত পাঁচ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়া বাসের আরও ৪০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন এই দুর্ঘটনার জেরে। রিপোর্ট অনুযায়ী, সোমবার রাতে জাজপুরের বারবাটি ব্রিজ থেকে পড়ে যায় বাসটি। ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে ছিল সেই উড়ালপুল। গতরাত প্রায় ৯টা নাগাদ এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে যাত্রীদের জন্য ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। (আরও পড়ুন: ঝড়ের বেগে ছোটা বুলꩵেট ট্রেন থমকে যাবে ঝড়ে! রেলপথে বসবে অত্যাধুনিক যন্ত্র)
আরও পড়ুন: পাহাড় কেটে বসেছে লাইন, বাংলা থেকে সিকিমের পথে কোন🦋 কোন স্টেশন দিয়ে যাবে ট্রেন?
আরও পড়ুন: নববর্ষে নয়া সূচনা, কলকাতা মেট্রোর মুকুটে সোম থেকে জুড়ে গꦦে🅰ল নয়া পালক!
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ অনুমান করছে, ব্রিজে ওঠার পর বাসটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন চালক। এর জেরেই বাসটি ব্রিজ থেকে নীচে পড়ে গিয়ে বিপত্তি ঘটে। এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকরা। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। একে একে যাত্রীদের সেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাস থেকে বের করে আনা হয়। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে পঠানো হয়। পরে জানা যায়, যাত্রীদের মধ্যে থেকে পাঁচজনের মৃত্যু ঘটেছে। এদিকে রাতেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটিকে ব্রিজের নীচে থেকে তোলার চেষ্টা শুরু হয়। এদিকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাস যাত্রীদের জন্যে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দুর্ঘটনা নিয়ে শোক প্রকাশ করে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, 'জাজপুর জেলার বারবাটি এলাকায় একটি যাত্রিবাহী বাস দুর্ঘটনা কবলে পড়ে। সেই খবরে আমি মর্মাহত। দুর্ঘটনায় নিহত বাস যাত্রীদের আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং তাঁদের পরিবারের প্রতি আমি আমার সমবেদনা ব্যক্ত করছি। এদিকে দুর্ঘটনায় আহত হওয়া যাত্রীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।' পরে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক মৃতদের পরিবারপিছু ৩ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। (আরও পড়ুন: এই দেশে পা রাখার আগেই টাটার সঙ্গে বꦕড় চুক্তি টেসলার, দা🐭বি রিপোর্টে)
আরও পড়ুন: এব🎶ছর বর্ষায় কেমন বৃষ্টি হবে? বৈশাখেই পূর্বাভাস দিয়ে জানাল আবহাওয়া দফতর
এদিকে দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে দুর্ঘটনাগ্রস🃏্ত বাসটিতে প্রায় ৫০ জন যাত্রী ছিলেন। এদিকে গুরুতর আহত কিছু যাত্রীদের গতরাতেই স্থানীয় ধর্মশালা হাসপাতাল থেকে স্থানা্তরিত করা হয় কটকের এসসিবি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এদিকে যতক্ষণ না পর্যন্ত বাসটিকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে, ততক্ষণ মৃতের সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত ভাবে কিছু বলতে নারাজ স্থানীয় প্রশাসন। এদিকে দুর্ঘটনার পরই ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে যানবাহনের লম্বা লাইন পড়ে যায়। দেখা দেয় যানজট। জাজপুরের কালেক্টর ও জেলাশাসক নিখিল পবন কল্যাণ জানিয়েছেন, উদ্ধারকর্মীরা𒐪 গ্যাস কাটার ব্যবহার করে বাস থেকে মোট ৪৭ জনকে বের করে এনেছেন। এদিকে জাজপুরের পুলিশ সুপার বিনীত আগরওয়াল জানিয়েছেন, নিহতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।