আদানি-হিন্ডেনবার্গ রেষারেষিতে নাম জড়িয়ে যাওয়ার পরে মুখ খুলল কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক। মার্কিন শর্ট-সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের তরফে যে দাবি করা হয়, সেটা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের তরফে দাবি করা হয়েছে, কোনওদিনই কোটাক গ্রুপের কে-ইন্ডিয়া অপরচুনিটিস ফান্ড লিমিটেড (KIOF) এবং কোটাক মাহিন্দ্রা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের (KMIL) ক্লায়েন্ট ছিল না হিন্ডেনবার্গ। কে-ইন্ডিয়া অপরচুনিটিস ফান্ড লিমিটেডের কোনও বিনিয়োগকারী🌌র যে অংশীদার ছিল ওই মার্কিন শর্ট-সেলার, তা কস্মিনকালেও শোনা যায়নি বলে দাবি করেছেন কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের এক মুখপাত্র।
SEBI-র শো-কজ নোটিশের প্রেক্ষিতে হিন্ডেনবার্গের পালটা অভিযোগ
কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের তরফে যে সেই মন্তব্য করা হয়েছে, সেটা করা হয়েছে হিন্ডেনবার্গের নয়া দাবির প্রেক্ষিতে। আদানি গ্রুপের সঙ্গে রেষারেষির মধ্যেই ভারতের বাজারের নিয়মকানুন ভঙ্গের অভিযোগে ভারতের বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ⛎্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়ার (সেবি) তরফে হিন্ডেনবার্🐲গকে শো-কজ নোটিশ ধরানো হয়েছিল। সেই নোটিশের জবাবে পালটা সেবির বিরুদ্ধে বেসরকারি ব্যাঙ্ক এবং ভারতীয় ব্যবসায়ীদের আড়াল করার অভিযোগ তুলেছে মার্কিন সংস্থা।
কোটাকের নাম জড়াল হিন্ডেনবার্গ
হিন্ডেনবার্গের তরফে দাবি করা হয়েছে, আদানি গ্রুপের শেয়ারের বিরুদ্ধে বাজি ধরার জন্য যে বিদেশি তহবিল কাঠামো ব্যবহার করেছিল মার্কিন শর্ট-সেলার সংস﷽্থার অংশীদার, সেটা তৈরি করেছিল উদয় কুমারের কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক। ওই বিদেশি তহবিলের তদারকিও করত কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক। কিন্তু আদানির শেয়ার 'শর্ট' করতে যে কোটাক ব্যাঙ্কের একটি সংস্থার তহবিল যুক্ত আছে, সেটা প্রকাশ করেনি সেবি। নিজেদের নোটিশে কে-ইন্ডিয়া অপরচুনিটিসের নাম করেছে। কিন্তু কোটাকের নামটা চেপে গিয়ে স্রেফ KMIL বলে চালিয়ে দিয়েছে।
কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের প্রতিক্রিয়া
সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে নাম গোপন রাখার শর্তে 'হিন্দুস্তান টাইমস' গ্রুপের 'লাইভ মিন্🎃ট'-এ কোটাক মাহিন্দ্রা✅ ব্যাঙ্কের এক শীর্ষকর্তা জানান, হিন্ডেনবার্গের অংশীদারী কিংডন ক্যাপিটালের জন্য আদানির শেয়ার 'শর্ট' করতে সাহায্য করা হয়েছিল। কিন্তু কিংডন ক্যাপিটালের সঙ্গে যে হিন্ডেনবার্গের যোগসূত্র আছে, সে বিষয়ে কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের কোনও ধারণা ছিল না। মঙ্গলবারই সেটা জানতে পেরেছে।
কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের ওই শীর্ষকর্তা জানান, কোটাকের নাম প্রকাশ করে নিজেদের স্বার্থে ভারতীয় সংস্থার ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দিল হিন্ডেনবার্গ। তিনি প্রশ্ন করেন, কোনও সংস্থার শেয়ার যদি ইক্যুইটির ২০০ গুণ দামে প�🃏�ৌঁছে যায় এবং সেই শেয়ারের ফান্ড ম্যনেজার যদি সেটা বেচে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে সেখানে কারসাজি করা হচ্ছে, সেটা কীভাবে কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক জানবে?