হিংসার জেরে দাঙ্গা বিধ্বস্ত মণিপুরে এবার রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেও তোলপাড় দেখা দি🐈তে শুরু করল। বিরোধীরা আগেই সেখানে বীরেন সিংয়য়ের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে পদত্যাগ দাবি করেছিল। এরপর এনডিএ জোটের শরিক কুকি পিপলস অ্যালায়েন্স, বীরেন সিং সরকারের থেকে সমর্থন তুলে নিল মণিপুরে। যা নিঃসন্দেহে মণিপুরের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অবস্থায় একটি বড় ঘটনা।
এপর্যন্ত মণিপুরে দেড়শোর বেশি মানুষ জাতি দাঙ্গার শিকার হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছেন। কিছুদিন আগে, এক ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা যায়, মণিপুরের রাস্তায় দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে প্যারাড করানো হচ্ছে। দেশ জুড়ে এই অমানবিকতা নিয়ে ধিক্কার ওঠে। গর্জে💯 ওঠেন বহু সুধী সমাজের মানুষ। বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী থেকে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী। তবে তারপরও মণিপুর অশান্ত। সদ্য শুক্রবার ভোররাতে সেখানে বিষ্ণুপুরে এক বাড়ির ভিতর ঘুমন্ত অবস্থায় তিনজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরিস্থিতি ফের অগ্নিগর্ভ হয় মণিপুরে। এরপর ১০ কোম্পানি আধাসেনা শনিবার রাতেই মণিপুরে পাঠায় কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে কুকি পিপলস অ্যালায়েন্সের বীরেন সিং সরকারের থেকে সমর্থন ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা এনডিএর পক্ষে বেশ বড় ধাক্কা। যেখানে মণিপুর ইস্যুতে দিল্লির সংসদে ক্রমাগত বিরোধীদের তোপের মুখে কেন্দ্র। হতে চলেছে আনাস্থা নিয়ে আলোচনা, সেখানে কুকি পিপলস অ্যালায়েন্সের পদক্ষেপ বেশ প্রাসঙ্গিক।
এদিকে, এক বিজ্ঞপ্তিতে কুকি পিপলস অ্যালায়েন্স বলছে, ‘বর্তমান উত্তেজনাকে সতর্কভাবে বিবেচনা করার পর, মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন মণিপুরের বর্তমান সরকারের প্রতি অব্যাহত সমর্থন আর ফলপ্রসূ নয়। সেই মতো, মণিপুর সরকারকে কেপিএ-এর সমর্থন এতদ্বারা প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং এটি বাতিল বলে বিবেচিত হতে পারে।’ উল্লেখ্য, গত ৩ মে মণিপুরে 🧸‘ট্রাইবাল সলিডারিটি মার্চ’ থেকে শুরু হয়েছে মণিপুরে সংঘাত। মূলত, মেইতেই ও কুকি গোষ্ঠীর মধ্যে এই সংঘাত রক্তক্ষয়ী পরিস্থিতি নিতে শুরু করে। জ্বলতে থাকে এন বীরেন সিংয়ের শাসিত মণিপুর। তিন মাস কেটে গেলেও, শান্তি ফেরেনি মণিপুরে। মূলত, রিজার্ভ ফরেস্টের কাছে কুকি গ্রামগুলি সরিয়ে নেওয়া ঘিরেই এই সংঘাত আরও বেশি করে দানা বাঁধে। প্রসঙ্গত, অঙ্কের হিসাব বলছে, মণিপুরের ৫৩ শতাংশ জনবসতি মেইতেইদের। আর তাঁদের বেশিরভাগেরই বসবাস ইম্ফল উপত্যকায়। আর নাগা, কুকিরা সেখানের জনবসতির ৪০ শতাংশে অবস্থান﷽ করে। তাঁরা সেখানের পাহাড়ি জায়গায় বসবাস করে থাকেন।