ভারত-পাক অশান্তি নিয়ে বিতর্কিত পোস্টের দায়ে এবার সাসেপন্ড করা হল এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকাকে। ঘটনাটি চেন্নাইয়ের এসআরএম বিশ্ববিদ্যালয়ের। মিস এস লোরা নামে অভিযুক্ত ওই অধ্যাপিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন ইংলিশ, ভার্বাল অ্যাপটিটিউড ও শিশু সাহিত্যের অধ্যাপিকা। সাম্প্রতিককালে তিনি তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসে বেশ কিছু বিতর্কিত পোস্ট করেন। সম্প্রতি সেই পোস্টগুলির স্ক্রিনশট তুলে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন এক ব্যক্তি। তার ওই পোস্ট নিমেষে ভাইরাল হয়ে যায়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সাসপেন্ড হন ওই অধ্যাপিকা।
কী লেখা ছিল ওই বিতর্কিত পোস্টগুলিতে?
ওই অধ্যাপিকা তাঁর স্ট্যাটাসে দাবি করেন, ভারতে অপারেশন চালাতে গিয়ে এক শিশুহত্যা করেছে। এছাড়াও তাঁর দাবি, দুজন সাধারণ ব্যক্তি নাকি অপারেশন সিঁদুরের জেরে আহত হন। অধ্যাপিকার কথায়, কিছু নিরীহ প্রাণকে হত্যা করাকে সুবিচার ও সাহসিকতা বলা যায় না।
ভাইরাল পোস্ট
আরও পড়ুন - ‘টিট ফর ট্যাট’ ভারত-পাকের মধ্যে ফের নাক গলানোর ইচ্ছাপ্রকাশ ট্রাম্পের
আর কী লেখেন ওই অধ্যাপিকা?
এছাড়াও, অন্য আরেক পোস্টে ভারত-পাক অশান্ত পরিস্থিতির কিছু নেতিবাচক দিক তুলে ধরেন তিনি। স্টাটাসে দাবি করেন, অর্থনীতির বেহাল দশা, লকডাউন, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া ইত্যাদি হতে চলেছে আগামী দশকে।ভারতের আর্থিক অবস্থাও খারাপ হবে বলে দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন - সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ২০২০ সালেই প্রশংসিত হন সোফিয়া কুরেশি, রাষ্ট্রসংঘের বড় দায়িত্ব ছিল তাঁর উপর
অমিত শাহের কড়া বার্তা
ঘটনাচক্রে ৭ মে অমিত শাহ ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানে আলোচনার শেষে দুটো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক, সীমান্ত অঞ্চলগুলির নিরাপত্তা আরও মজবুত করা। দুই সোশাল মিডিয়ায় দেশবিরোধী পোস্ট দেখলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই কথা তাঁর এক্স হ্যান্ডেলেও স্পষ্ট করে দেন। তিনি এই দিনের বৈঠক সেরে রাত সোয়া নটা নাগাদ এক্সে লেখেন, ‘সোশাল মিডিয়ায় দেশবিরোধী সমস্ত কার্যকলাপের উপর কড়া নজর রাখতে হবে। সংবেদনশীল জায়গাগুলিতে নির্ঝঞ্ঝাট যোগাযোগব্যবস্থা ও নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে হবে।’
সাসপেন্ড অধ্যাপিকা
প্রসঙ্গত, ৭ মে সন্ধেবেলাতেই এক্স প্ল্যাটফর্মে ওই অধ্যাপিকার নামে অভিযোগ করে পোস্ট করেন এক ব্যক্তি। পোস্টটি দ্রুতগতিতে ভাইরাল হয়। পোস্টে ট্যাগ করা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়টিকেও। পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পরেই সাসপেন্ড করা হয় ওই অধ্যাপিকাকে। পরে সেই কথা পোস্টদাতাই তার পোস্টের রিপ্লাইয়ে জানিয়েছেন সাসপেন্ড নোটিসের ছবি পোস্ট করে।