পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (পিএফআই♚) মতো আরএসএসকেও নিষিদ্ধ করা হোক। এমনই দাবি তুললেন আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মতো একই দাবি করেছেন কেরলের সিপিআইএম নেতারা। পালটা আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি।
বুধবার লালুপ্রসাদ বলেন, ‘পিএফআই নিয়ে তদন্ত চলছে। আরআরএস-সহ পিএফআইয়ের মতো যাবতীয় সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেওয়া উচিত এবং তদন্তের প্রয়োজন♏ আছে।’ পালটা লালুকে আক্রমণ শানিয়ে বিজেপির মুখপাত্র নিখিল আনন্দ বলেন, 'পিএফআইকে সমর্থন করে নিজের মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক মজবুত করার চেষ্টা করছেন লালু💃জি। সেজন্যই উনি আরএসএসের এত বিরোধিতা করছেন।'
বুধবার সকালে পিএফআই এবং আটটি সহযোগী সংগঠনকে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা ক🍷রেছে কেন্দ্র। সেই তালিকায় আছে রেহাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, অল ইন্ডিয়া ইমামস কাউন্সিল, ন্যাশনাল কনফেডারেশন অফ হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন, ন্যাশনাল উইমেনস ফ্রন্ট, জুনিয়র ফ্রন্ট, এমপাওয়ার ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এবং রেহাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন (কেরল)। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, পিএফআই উগ্রপন্থা ছড়াচ্ছে এবং সন্ত্রাসমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত আছে।
লালুর মতোই কেরলের সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক এমভি গোবিন্দন বলেন, 'যে কোনও ধরণের সাম্প্রদায়িকতা বিপজ্জনক। কোনও সংগঠনকে নিষিদ্ধ করে দিলেই মতাদর্শে ইতি পড়ে যায় না। নয়া নাম বা পরিচয় নিয়ে ওরা ফিরে আসবে। তবে এই নীতিতে চললে তো🐻 সব সাম্প্রদায়িক সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। তাতে প্রথমেই আরআরএসের নাম আসবে। (আরআরএসকে) কি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে?' সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, সমাজে ঘৃণা ছড়ানোর জন্য আরআরএসও সমানভাবে দায়ী। দেশে যে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছে, তার পিছনে আরআরএসের হাত আছে।
যদিও বামেদের তুমুল আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। কেরল বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে সুরেন্দ্রন খোঁচা দিয়েছেন, নিজেদের এক জোটসঙ্গী (পড়ুন পিএফআই) নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ায় সিপিআইএম যে কষ্ট পাচ্ছে, তা অনুভব করতে পারছেন। তিনি বলেন, 'আমরা সবাই জানি যে পাথানামথিট্টা এবং কোট্যায়ামে কতগুলি পুরসভা এবং পঞ্চায়েতে তারা ক্ষমতা ধরে রেখেছে। সিপিআইএমের সমর্থনে কেরলে শাখা বিস্তার করেছে পিএফআই। উত্তর কেরলে সিপিআইএমের সঙ্গে অনেক পিএএফআই নেতাদের ভালো সম্পর্ক ꦕআছে।'