Covid-19 সংক্রমণের জেরে দেশজুড়ে লকডাউন জারি হও🍎য়ার পরে চূড়ান্ত বিপাকে পড়ছেন বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকরা। বাংলার শ্রমিকদের জন্য সাহায্য চেয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে চিঠি লিখলেনꦗ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উত্তর প্রদেশ, বিহার, রাজস্থান, ওডিশা, মধ্য প্রদেশের পাশাপাশি, বাংলার বহু নির্মাণকর্মীও ভিনরাজ্যে 🌳এই সময়আটকে পড়েছেন। সেখানে কাজ বন্ধ✅ হয়ে যাওয়ার পরে প্রতিদিনের খোরাকি জোগাড় করতে তাঁদের জমানো টাকা প্রায় ফুরিয়ে এসেছে। বাধ্য হয়েই ভিনদেশি অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে তাঁরাও এখন বাড়ি ফেরার চেষ্টায় ব্যাকুল।
লকডাউনের ঘেরাটোপে বন্দি দেশে রাস্তায় চলাফেরা করার নানান বাধায় তাঁদের সেই চেষ্টা বাস্তবায়িত করাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনতা কার্ফু ঘোষণার আগে যাঁরা ট্রেনেꦑ চেপেছিলেন, তাঁদের মাঝপথে কোনও স্টেশনে নামতে বাধ্য করা হয়। কোথাও স্টেশনের বিশ্রামাগার আবার কোথাও আশ্রয়শিবিরে কোনও মতে মাথা গুঁজতে𝓀 হয়েছে ঘরমুখী শ্রমিকদের। কারও কারও আবার সঙ্গে পরিবারও রয়েছে বলে সমস্যা দ্বিগুন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আবার নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় সড়কে চলাচল নিষিদ্ধ হওয়াဣয় সমস্যায় পড়েছেন শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, এমনই একদলকে পুলিশি নিগ্রহের সামনে পড়তে হয়েছে। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, লাঠি উঁচিয়ে থাকা পুলিশকর্মীদের নির্দেশে পিঠে ব্যাগ ঝ▨ুলিয়ে রাস্তায় কান ধরে ওঠবোস করছেন ঘরমুখী বিপন্ন শ্রমিকরা। লজ্জা ও শারীরিক যাতনা মাথায় নিয়ে তবু ঘরে ফিরতে মরিয়া শ্রমিকরা। তাঁদের বিশ্বাস, গ্রামে ফিরলে অন্তত খাবারের ব্যবস্থা হবে।
তবে নিজের রাজ্যে ফিরলেও বহ♓ু ভিন মুলুকে কর্মরত শ্রমিককে গ্রামের ভিতরে ঢুকতে দিচ্ছেন না প্রতিবেশীরা। তাঁদের সঙ্গে একঘরে করা হচ্ছে ওই শ্রমিকদের গ্র♍ামের বাড়িতে বসবাসকারী আত্মীয়দেরও।
এমনই ঘটনা ঘটেছে বিহারের জুমাইতে মদন ঝা নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। হায়দরাবাদের কর্মস্থান থেকে বিহারের গ্রামে ফিরলেও তাঁকে বাড়ি ඣযেতে দেননি বাসিন্দারা। স্থানীয় চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের উপস্থিতিতি তাঁর দেহে নেই। তবু বাড়ি ছেড়ে গ্রামের বাইরে নিজের শস্যখেতের মাঝে তাঁবুতেই তাঁকে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে।
ভিনদেশি শ্রমিকদের সাহায্য করতে বেশ কিছু রাজ্য সরকারের তরফে যৌথ রান্নাঘর ও আশ্রয় শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুর্গতদের খাবার ও ওষুধের ব্যবস্থাও হয়েছে সরকারি তরফে। আপাতত সেখানে মাথা গোঁজার সুযোগ পেয়েছেন ঘরছাড়া শ্রমিকদের কেউ কেউ। বাকিরা এখনও দীর্ঘ পথ 𝓰হেঁটে গ্রামের বাড়িতে ফেরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ঘনিয়েছে অনিশ্চয়তার মেঘ।