গত এক দশক ধরে মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের নাম ভাঙিয়ে অবৈধ আর্থিক লেনদেন ব্যবসার জাল বিছিয়েছিল বিহারের কাটিহারে বসবাসকারী কয়েক জন আফগান নাগরিক। তাদের সন্দেহজনক গতিবিধির উপরে নজর রাখতে গিয়ে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য নজরে এসেছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি😼র।
জানা গিয়েছে, ‘দাউদ ঋণ প্রদানকারী’ নামের আড়ালে আর্থিক প্রতারণা চক্র চালাতে কাটিহারের সার্কেল অফিসারে🐈র দফতর থেকে লাইসেন্স জোগাড় করেছিল গ্রেফতার হওয়া ওই প্রতারকরা।
তদ𝓡ন্তে যুক্ত এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘এই অঞ্চল ও পশ্চিমবঙ্গের সীমাঞ্চলে দাউদ ইব্রাহিম এখনও যথেষ্ট জনপ্রিয় এবং অনেকের কাছে সমীহ করার মতো নাম। এই কারণেই আফগান নাগরিকরা তাদের সুদের কারবারের সঙ্গে দাউদের নাম জুড়ে দিয়েছিল।’
যদিও কাটিহারের সার্কেল অফিসার সোনু ভগৎ গত ১৫ বছরে দাউদ ইব্রাহিমের নামাঙ্কিত কোনও ব্যবসার জন্য লাইসেন্স দে🎃ওয়ার কথা ജঅস্বীকার করেছেন। তাঁর মতে, ধৃতদের থেকে উদ্ধার করা নথিপত্র জাল।
গত ১৫ ডিসেম্বর কাটিহার শহরের চৌধুরীমার্কেট থেকে গ্রেফতার করা হয় ৫ আফগান নাগরিককে। তাদের দলের আর এক সদস্য অবস্য পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালায়। ধৃত মহম্মদ দাউদ, ফজল মহম্মদ, মহম্মদ কামরান, গুলাম মহম্ম♎দ ও রাজা খান আফগানিস্তানের পাকতিতা প্রদেশের বাসিন্দা। ফেরার হয়েছে তাদেরই সঙ্গী আলমার খান। ধৃতদের বর্তমানে কাটিহার জেলে রাখা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, ফেরার আলমার খান এবং তাদের বাড়িওয়ালা মহম্মদ মুনাজির༒ হাসান নেপালে পালিয়ে গিয়েছে। তাদের গ্রেফতার করা তদন্তের পক্ষে জরুরি বলে স্বীকার করেছে পুলিশ।
ধৃতদের আস্তানায় হানা দিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে ভুয়ো আধার কার্ড, একাধিক এটিএম কার্ড, ভুয়ো ড্রাইভিং লাইসেন্স-সহ প্রচুর আপত্তিকর সামগ্রী। এ ছাড়া ⛄নগদ ৭ লাখ টাকাও পাওয়া গিয়েছে আফগানদের ডেরায়। পুলিশের দাবি, এই প্রতারক চক্রের ব্যবসা বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও অসমে ছড়িয়ে রয়েছে।
প্রতারক চক্রের সঙ্গে একাধিক রাজনীতিবিদ জড়িয়ে থাকতে পারেন বলেও মনে করছে পুলিশ। ভারত-নেপাল এবং ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় প্রতারণার জাল বিছিয়েছে এই চক্র। বিশেষ করে বিহারের কাটিহার, পূর্ণিয়া, আরারিয়া ও কিষাণগঞ্জে সমাজবিরꦗোধীদের বড়সড় আস্তানা থাকায় ওই চার রাজ্যে প্রতারণা ব্যবসার রমরমা রয়েছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।