লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া গানই রথযাত্রার ‘সিগনেচার টিউন’ হয়ে গিয়েছিল। ভারতের ‘নাইটিঙ্গল’-এর প্রয়াণের পর সেই স্মৃতিচারণ করলেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবানি। রবিবার আডবানি বলেন, ‘জনপ্রিয় সংগীতজ্ঞদের মধ্যে লতাজি আমার সর্বকালের প্রিয় গায়িকা। তাঁর সঙ্গে দীর্ঘদিন সম্পর্ক থাকায় নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করি। আমার মনে আছে সেই সময়টা, যখন উনি সুন্দর একটি শ্রীরাম ভজন রেকর্ড করেছিলেন। সোমনাথ থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত রাম রথযাত্রা শুরুর আগে আমার পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। সেই অসাধারণ গান আমার যাত্রার সিগনেচার টিউন হয়ে গিয়েছিল - রাম নাম মে জাদু অ্যায়সা, রাম নাম মন ভায়ে, মন কি অযোধ্যা তব তক শুনি, জব তক রাম না আয়ে।’রবিবার সকালে প্রয়াত হন ‘সুরের সরস্বতী’ লতা মঙ্গেশকর। রবিবার সকাল ৮ টা ১২ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাস মুক্ত হয়েছিলেন 'ভারতের কোকিলকণ্ঠী'। কিন্তু করোনা পরবর্তী জটিলতার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের চিকিৎসক প্রতীত সামধানি জানান, ‘মাল্টি অর্গ্যান ফেলিয়োরের জেরেই মৃত্যু হয়েছে লতা মঙ্গেশকরের। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ২৮ দিন হাসপাতালে ভরতি ছিলেন। করোনা মুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু করোনা পরবর্তী জটিলতার জেরে স্তব্ধ হল তাঁর যাত্রা।’ সেই খবরে পুরো দেশে শোকের ছায়া নেমে আসে। সরস্বতী পুজোর পরদিন ‘সুরের সরস্বতী’-র প্রয়াণে শোকস্তব্ধ পুরো দেশ। শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা। মোদী বলেন, ‘লতা দিদির কাছ থেকে যে অগাধ স্নেহ পেয়েছি, তা আমার কাছে সম্মান। ওঁর সঙ্গে যোগাযোগের স্মৃতি অবিস্মরণীয়। গোটা দেশের সঙ্গে আমিও লতা দিদির প্রয়াণে শোকাহত। ওঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সমবেদনা জানিয়েছি। ওঁ শান্তি। গোটা দেশ আজ শোকস্তব্ধ।’ শোকপ্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘ভারতের প্রয়াত আইকন ভারতরত্ন লতা মঙ্গেশকরকে আমার অন্তরের শ্রদ্ধা। তাঁর পরিবার ও গোটা বিশ্বে তাঁর কোটি কোটি অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা। প্রতিভার নিরিখে তিনি সঠিক অর্থেই ভারতের নাইটিঙ্গল। তাঁর মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। এই গ্রহের তাঁর সমস্ত ভক্ত ও অনুরাগীদের মতো আমিও তাঁর কণ্ঠস্বরে মুগ্ধ ছিলাম।’