আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলিতে খুব বেশি ঝুঁকিতে নেই LIC । সোমবার এক বিবৃতি প্রকাশ করে স্পষ্ট জানিয়ে দিল লাইফ ইনসিওরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া। আ💎দানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি 'স্টক ম্যানিপুলেশন' এবং 'বিপুল ঝুঁকিপূর্ণ ঋণে'-র অভিযোগ তুলেছে এক মার্কিন সংস্থা। তার প্রেক্ষিতেই এই বিজ্ঞপ্তি রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থার। তারা জানিয়েছে, উক্ত সংস্থাগুলিতে তাদের মোট সম্পদের(AUM) ১%-এরও কম যুক্ত রয়েছ। অর্থাত্, খুব বেশি ঝুঁকিতে নেই তারা।
LIC জানিয়েছে, 'আদানি গ্রুপ অফ কোম্পানির অধীনে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ পর্যন্ত ইক্যুইটি এবং ঋণের অধীনে LIC-র মোট হোল্ডিংয়ের অঙ্ক ৩৫,৯১৭.৩১ কোটি টাকা। আদানি গ্রুপের সমস্ত সংস্থার অধীনে গত বেশ কয়েক বছর ধরে কেনা ইক্যুইটির মোট ক্রয় মূল্য হল ৩০,১২৭ কোটি টাকা। ২৭ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ অনুযায়ী, বাজার বন্ধ হওয়ার সময়ে মোট শেয়ারের মূল্য ছিল ৫৬,১৪২ কোটি টাকা। আদানি গ্রুপের অধীনে বিনিয়োগকৃত মোট টাকার পরিমাণ এখনও পর্যন্ত ৩৬,৪৭৪.৭৮ কোটি টাকা। এই বিনিয়োগগুলি একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই করা হয়েছে। LIC-র কাছে থাকা আদানি গোষ্ঠীর সমস্ত ঋণের সিকিউরিটির ক্রেডিট রেটিং AA রয়েছে। এটি সমস্ত IRDAI-এর স্থির করা বিমা সংস্থার বিনিয়োগ বিধির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।' আরও ꦗপড়ুন: শেয়ার কমলেই দারুণ মুনাফা! ‘শর্ট পজিশন' কী? কেনই বা আদানির পিছনে মার্কিন সং🐎স্থা?
আদানি গ্রুপের বেশিরভাগ শেয়ারই এখনও নিম্নমুখী হয়ে চলেছে। সোমবারও তাদের পতন অব্যাহত থেকেছে। মার্কিন শর্ট-সেলার হিনডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টের জেরে এখনও টানা সেল অফ চলছে আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারে। আদানি গোষ্ঠী এই বিষয়ে পাল্টা বিবৃতি দি🌱লেও তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। তিন দিনের মধ্যেই সব মিলিয়ে স্টক মার্কেটে ৬৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হাওয়া হয়ে গিয়েছে আদানি গোষ্ঠীর।
৩০ স♍েপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত LIC-র মোট সম্পদের(AUM) পরিমাণ ৪১.৬৬ লক্ষ কোটি টাকারও♏ বেশি। সেই হিসাব অনুযায়ী, আদানি গোষ্ঠীতে LIC-র 'এক্সপোজার' মোট AUM-এর ০.৯৭৫% ।
ক্রমবর্ধমান ঋণের বোঝা। আর সেই ঋণ নিতে সংস্থারই শেয়ারকে কাজে লাগিয়েছে আদানি গোষ্ঠী। ফলে ঋণখেলাপি হলে গোটা সংস্থাগুলিই টলে যেতে পারে। মার্কিন বাজার গবেষণা সংস্থা Hindenburg রিসার্চের বুধবারের রিপোর্ট প্রকাশ হতেই বাজার টালমাটাল হয়ে গিয়েছে। হু-হু করে পড়েছে আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার শেয়ার দর। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ জানিয়েছে মার্কিন-ট্রেডেড বন্ড এবং নন-ইন্ডিয়ান-ট্রেডেড ডেরিভেটিভ ইন্সট্রুমেন্টে🌺র মাধ্যমে ভারতের আদানি গ্রুপে তারা শর্ট পজিশনে 🐻বাজি ধরেছে। সংস্থার মতে, আর্থিকভাবে বেশ ‘চাপের’ পরিস্থিতিতে রয়েছে আদানি গোষ্ঠী। অঘটন ঘটতেই পারে।
আদানি গোষ্ঠীর বর্তমানে মোট ৭টি সংস্থা শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে। অত্যন্ত চড়া ভ্যালুয়েশনের কারণে সংস্থাগুলির শেয়ারে প্রায় ৮৫% নেতিবাচক প্রবণতা রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে হিন্ডেনবার্গ। আরও পড়ুন: হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ কারা? কেন তাদের রিপোর্টে টলে গেল আদানির শেয়ার? জানলে অবা🦂ক হবেন