ক্ষমতায় এলে ‘ন্যূনতম আয় যোজনা’ (ন্যায়) প্রকল্প রূপায়ণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কংগ্রেস। করোনাভাইরাসের সꦯংকটময় পরিস্থিতিতে সেই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আবেদন জানাল কংগ্রেস। তাদের দাবি, করোনার জেরে দিনমজুর ও গরীব মানুষের উপর যে প্রভাব পড়েছে, তা মোকাবিলায় 'ন্যায়' অত্যন্ত কার্যকরী হবে।
গত বছর ২৫ মার্চ তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী জানিয়েছিলেন, কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় এলে দেশের ২০ শতাংশ গরীব পরিবারপিছু বছরে ৭২,০০০ টাকা দেওয়া হবে। কংগ্রেসের দাবি ছিল, দেশের পাঁচ কোটি ও প𓄧্রায় ২৫ কোটি মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পাবে। প্রতিটি পরিবারকে মাসিক ৬,০০০ টাকা দিলে প্রকল্পের জন্য খরচ হবে ৩.৫ লাখ কোটি।
শুক্রবার কংগ্রেসের টুইটার অ্যাকা💟উন্টে বলা হয়, ‘যখন কেন্দ্র একটি আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার বিষয়ে অপেক্ষা করছেন, বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যে গত বছর কংগ্রেসের প্রস্তাবিত ন্যায় প্রকল্পের হয়ে কথা বলছেন। এই সংকটের মুহূর্তে গরীবদের ন্যূনতম আয় নিশ্চিত করবে।’ পরে কংগ্রেসে প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা দুটি টুইটবার্তায় বলেন, ‘প্রিয় প্রধানমন্ত্রী, এই মুহূর্তের দরকার হল যে রাহুল জি ও কংগ্রেসের মস্তিষ্কপ্রসূত ন্যায় রূপায়ণ করা। দয়া করে জনধন অ্যাকাউন্ট ও পিএম কিষাণ অ্যাকাউন্ট গ্র♊াহকদের মাসিক ৭,৫০০ টাকা দিন। পুষ্টিগত চাহিদার প্রতিটি পেনশন অ্যাকাউন্টের ২১ দিন প্রয়োজন এবং বিনামূল্যে রেশন দিন।’
তবে কংগ্রেসের 'ন্যায়' প্রকল্প বাস্তবোচিত নয় বলে আগেই জানিয়েছিল নীত♏ি আয়োগ। তাদের তরফে জানানো হয়েছিল, প্রকল্পটির ভার নেওয়ার মতো সরকারি কোষাগারে সুযোগ নেই। একইসঙ্গে যে রকম পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্🌄রয়োজন, তাও কেন্দ্রের হাতে নেই।
নিজেদের মস্তিষ্কপ্রসূত প্রকল্প রূপায়ণের আর্জি জানালেও শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল অবশ্য সরকারের সমালোচনার পথে হাঁটেননি। তিনি জানান, সরকারের সমালোচনার করার এটা সঠিক নয় এ💙বং রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে সবাইকে দেশ হিসেবে এগিয়ে আসতে হবে। তবে অর্থনীতিকে এখনই সঠিক জায়গায় নি𓆏য়ে আসার জন্য আর্জি জানান রাহুল।
তবে এখনই গ🧸রীবদের হাতে সরাসরি ৭,৫০০ টাকা দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য শীঘ্র একটি আর্থিক প্যাকেজের প্রয়োজন আছে। যা কর্মসংস্থানে🦩র সুযোগ তৈরি করবে। তিনি বলেন, ‘যারা কর্মসংস্থান তৈরি করে, তাদের রক্ষা করতে হবে, একটা দেওয়াল তৈরি করতে হবে যাতে শ্রমিকদের চাকরি ও বেতন রক্ষা করা যায়। রাহুলের মতে, দ্রুত অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে হবে। কারণ আমরা যত সময় হারিয়ে ফেলব, তত তার প্রভাব খারাপ হবে।
অন্যদিকে ওয়াইনাডের সাংসদের মতে, সরকার যদি লকডাউন প্রত্যাহার করতে চায়, তাহলে মানুষের মানসিকতা ও ধারণার উপর জোর দিতে হবে। রোগ নিয়ে 💦মানুষের ভয়কে মনের জোরে পরিণত করতে হবে। বোঝাতে হবে, ৯৮-৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে করোনা প্রাণনাশক নয়।