লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শিশুদের নিয়ে নয়া ফরমান জারি করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তারা আজ, সোমবার এক নির্দেশিকায় জানিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের কোনও কাজে কোনও শিশুকে ব্যবহার করা যাবে না। এই বিষয়ে কমিশন ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করছে। কোনও রাজনৈতিক দল শিশুদের ভোটের কাজে ব্যবহার করতে পারবে না। মিছিল, স্লোগান, ক্যাম্পেইন হোক বা পোস্টার বিলি কোনওভাবেই ছোটদের ব্যবহার করা যাবে না। এই নির্দেশ 🔯অমান্য করলে সেই রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের শিশু শ্রমিক বিরোধী আইন 𝓡অনুযায়ী পদক্ষেপ করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
এদিকে আজ যে নির্দেশিকা জারি হয়েছে তাতে উল্লেখ রয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কোনও কাজে শিশুদের ব্যবহার করা যাবে না। প্রচারেও শিশুরা পা মেলাতে পারবে না। পোস্টার বিলি, স্লোগান দেওয়া, মিছিলে হাঁটা সবকিছু থেকে শিশুদের বিরত রাখতে হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনও বৈঠকেও শিশুদের নিয়ে যাওয়া যাবে না। সব রাজনৈতিক দল🐓ের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ প্রযোজ্য হবে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগে এই প্রথম জাতীয় নির্বাচন কমিশন এমন নির্দেশিকা প্রকাশ করল। আর পরিষ্কার বুঝিয়ে দিল নির্বাচনের সময় কোন কিছুতেই অশান্তি রাখতে চাইছে না তাঁরা। এই প্রথম লোকসভা নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অনেক আগেই নির্বাচন কমিশনের এমন নির্দেশিকা জারি করা হল।
অন্যদিকে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার চলাকালীন অনেক সময় কোনও শিশুকে কোলে তুলে নিতে দেখা যায় রাজনৈতিক দলের প্রার্🉐থীদের। একাধিকবার এমন নানা বিষয় নিয়ে নির্বাচন কমিশনের নজরে এসেছে। তাই নির্বাচনী প্রচারে কোনওভাবেই শিশুদের রাখা যাবে না বলে কড়া নির্দেশ জারি করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আর মিটিং–মিছিলে শিশুদের নিয়ে রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা গাড়িতে করে ঘুরছেন এমন ছবিও আগে বহুবার দেখতে পাওয়া গিয়েছে। এবার লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হওয়ার আগেই প্রচারে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রচারে ব্যবহৃত কোনও কবিতা, গানে শিশুদের উল্লেখ রাখা যাবে না। তবে কোনও রাজনৈতিক নেতার সভায় যদি বাবা, মায়ের সঙ্গে শিশুও উপস্থিত থাকে সেক্ষেত্রে নির্বাচনী প্রচার হিসাবে গণ্য করা হবে না।
আরও পড়ুন: অধিবেশনের আগেই বিধায়কদের গাড়িতে🌞 তল্লাশি, বিধানসভা ঢেকেছে নিরাপত্তা বলয়ে
এছাড়া সংশোধিত শিশুশ্রম আইন ২০১৬ সালের উল্লেไখ করে এবং ২০১৪ সালের বোম্বে হাইকোর্টের এই বিষয়ে রায়কে মান্যতা দিয়ে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের সতর্ক থাকার নির্দ✃েশ দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলিকে প্রচারের সময় শিশুশ্রম প্রতিরোধ আইন, ১৯৮৬ মেনে চলতে হবে। ওই আইনে যা বলা আছে সেসব কড়াভাবে মেনে চলতে হবে। নির্বাচনী নির্ঘন্ট প্রকাশ হবার পর থেকে সব জায়গায় নির্বাচন কমিশনের লোকজন ছড়িয়ে থাকে। মিটিং মিছিল থেকে শুরু করে সবকিছুর উপরেই তাঁদের কড়া নজর থাকে। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই তাঁরা সবকিছুকেই ভিডিয়োগ্রাফি করে থাকেন। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকাকে অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে সকলকেই।