যেন দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডের প𒁏ুনরাবৃত্তি। বুধবার মহারাষ্ট্রের থানেতে এক ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় এক মহিলার ক্ষত বিক্ষত দেহাংশ। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে এক প্রৌঢ়কে। জানা গিয়েছে, সেই প্রৌঢ় এবং তার প্রেমিকা একসঙ্গে আবাসনের সাত তলার একটি ফ্ল্যাটে থাকত। সেই ফ্ল্যাট থেকেই বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে বিশ্রী গন্ধ বেরোচ্ছিল। এই আবহে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। উদ্ধার হয় পচা-গলা দেহ। জানা গিয়েছে, যে মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে তাঁর নাম সরস্বতী বৈদ্য। তাঁর বয়স ছিল ৩৬ বছর। তিনি মনোজ সাহানি নামক ৫৬ বছর বয়সি এক 𓆉প্রৌঢ়র সঙ্গে থাকতেন। বিগত তিনবছর ধরে সেই ফ্ল্যাটে বসবাস করছেন তারা।
বুধবার সন্ধ্যায় সরস্বতীকে হত্যা করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় মনোজকে। ফ্ল্যাটের ভিতরে পুলিশ দেখে ♊যে ⛦বাথরুমের বালতিতে দেহর টুকরো টুকরো অংশ রাখা ছিল। এদিকে রান্নাঘরে মহিলার দুটো পা রাখাছিল। সেটাকে সেদ্ধ করে রান্নার তোড়জোড় চলছিল। জানা গিয়েছে, মনোজ সাহানি এর আগেও প্রেমিকার দেহাংশ সেদ্ধ করে তা কুকুরদের খাইয়েছে। পুলিশ সন্দেহ করে যে সরস্বতীকে অন্তত ৪ থেকে ৫ দিন আগে খুন করা হয়েছিল।
জানা গিয়েছে, পুলিশ আবাসনের সাততলায় অবস্থাত মনোজদের ফ্ল্যাটে পৌঁছায় গতকাল সন্ধ্যা সোয়া সাতটা নাগাদ। সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পায় একটি মহিলার মৃতদেহ পচাগলা অবস্থায় আছে সেখানে। বিশ্রী দুর্গন্ধ সেখানে। মৃতদেহের বেশ কয়েক টুকরো করা হয়েছে। মুম্বইয়ের ডেপুটি কমিশনার জয়ন্ত বাজবেলে জানান, খুবই নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে সেই মহিলাকে। তবে তিনি জানান, খুনের কারণ এখনও জানা যায়নি। তদন্তকারীরা তথ্য সংগ্রহ করছেন বলে জনান ডিসিপি। তিনি বলেন, 'পরিস্থিতি গভীরভাবে উদ্বেগজনক। আমরা শ্রীমতি বৈদ্যের জন্য ন্যায়বিচার খুঁজে পেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা ♒জনসাধারণকে আমাদের তদন্তে সহায়তা করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। এই কেস সংক্রান্ত যেকোনও তথ্য যদি তাদের কাছে থেকে থাকে, তাহলে যেন তারা পুলিশকে তা জানায়।' উল্লেখ্য, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই দিল্লির শ্রদ্ধাকাণ্ডের সঙ্গে এর তুলনা শুরু হয়। প্রসঙ্গত, শ্রদ্ধাকে দিল্লিতে খুন করা হলেও তিনিও মুম্বইয়েরই বাসিন্দা ছিলেন।