নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজস্থানের মাটিতে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসকে তোপ দেগেছিলেন। সরাসরি কংগ্রেসকে সন্ত্রাসবাদীদের প্রতি সহানুভূতিশীল বলে আক্রমণ করেছিলেন। আর আজ, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীকে তুলোধনা করলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম𒉰্পাদক জয়রাম রমেশ। মিথ্যে কথা বলাটাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চরিত্র বলে সুর সপ্তমে তোলেন কংগ্রেসের এই বর্ষীয়ান নেতা। সুতরাং পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন তেতে উঠেছে মরুরাজ্যের বালি। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়ছে না। রাজস্থানের জবাব রাজস্থানের মাটিতেই দেওয়া হচ্ছে।
এদিন প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের পাল্টা জবাব দেন জয়রাম। আর তা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কার্যত মিথ্যেবাদী বলেই সম্বোধন করেছেন। তাঁর কটাক্ষ, ‘মিথ্যে কথা বলাটা মোদীর চরিত্র। সংসদের ভিতরে ও বাইরে মিথ্যে কথাই বলেন। ভুল করেও উনি সত্যি কথা বলেন না।’ রাজস্থানে ভোট প্রচারে এসে এই ভাষাতেই প্রধানমন্ত্রীকে তোপ দাগলেন জয়রাম রমেশ। আসলে প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার উদয়পুরে প্রচার করতে এসে বলেছিলেন, কংগ্রেস আসলে সন্ত্রাসবাদীদের প্রতি সহানুভূতিশীল। এটারই জবাব দিলেন রমেশ। সুতরাং খেলা জমে উঠেছে বলে মনে করা হ🔯চ্ছে।
এদিকে এখানেই থেমে থাকেননি জয়রাম। তাঁর👍 তীক্ষ্ণ কটাক্ষ বাণ নিক্ষেপ হয়েই চলে। যার জবাব আবার নিশ্চয়ই পরে দেবেন প্রধানমন্ত্রী। জয়রাম রমেশের কথায়, ‘নির্বাচন আসলেই উনি শুরু করে দেন ভীষণ মিথ্যে কথা বলতে। উনি যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন থেকেই এমন মিথ্যে বলা শুরু করেছেন। নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন একের পর এক মিথ্যে প্রতিনিয়ত বলে চলেছেন। গতকালও তাই করেছেন।’ অর্থাৎ কংগ্রেস সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন সেটা মিথ্যে, এটাই বোঝাতে চেয়েছেন জয়রাম। সুতরাং জনগণের সামনে প্রধানমন্ত্রীকে মিথ্যেবাদী বলায় নির্বাচনী উত্তাপ বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘আমাকে বশ্যতা স্বীকার করানোর💙 ꦬচেষ্টা হচ্ছে’, কেন্দ্র ও এজেন্সিকে তোপ অভিষেকের
ঠিক কী বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী? অন্যদিকে রাজস্থানের উদয়পুরে গতকাল নির্বাচনী প্রচারে আসেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি কংগ্রেসকে ঠুকে বলেছেন, ‘সন্ত্রা🐼সবাদকে সহানুভূতি দেখিয়ে দুর্নীতিকে ক্ষমা করে দিয়েছে কংগ্রেস। শেষ পাঁচ বছরে রাজস্থানে অপরাধ বেড়ে গিয়েছে। কানাইলালজির সঙ্গে যে সন্ত্রাসবাদের ঘটনা ঘটেছে সেটা রাজ্য সরকারের পক্ষে বড় দাগ। এই ধরনের জঘন্য ঘটনা ঘটেই চলেছে কারণ কংগ্রেস সরকার সন্ত্রাসবাদীদের সহানুভূতি দেখায়। দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত কাউকে ছাড়ে না বিজেপি। রাজস্থান থেকে গুন্ডারাজ নির্মূল করতে বিজেপি বদ্ধপরিকর।’