মধ্যপ্রদেশে দু’দিনের রাজ্য ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক বসেছে কংগ্রেসের। কিন্তু তার ♛প্রথম দিনেই চোখের জল ফেলতে হল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জিতু পাটওয়ারিকে। এই নিয়ে এখন জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ ওই বৈঠক সিনিয়র নেতারা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীরা এবং প্রাক্তন বিরোধী দলনেতারা এড়িয়ে গেলেন। শুধু তাই নয়, এখন যিনি বিরোধী দলনেতা তিনিও এলেন না বৈঠকে। এরা সবাই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা। আর এভাবেই তাঁরা বুঝিয়ে দিলেন জিতু পাটওয়ারি ‘একা’। এখানের শাসকদল বিজেপি। তাঁদের নেতা–মন্ত্রীরা বিষয়টি দেখে হাসছেন।
এদিকে এই ঘটনা মেনে নিতে পারেননি জিতু পাটওয়ারি। কারণ প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ এবং দিগ্বিজয় সিং কেউ আসেননি। বিরোধী দলনেতা উমং সিঙ্ঘার, প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা অজয় সিং, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য কমলেশ্বর প্যাটেল এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয়ꦦ মন্ত্রী অরুণ যাদব–সহ শীর্ষ নেতারা এই বৈঠক বয়কট করেন। আর সেটা বুঝতে পেরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জিতু পাটওয়ারি। বৃহস্পতিবার আবেগপ্রবণ অবস্থায় চিৎকার করে জিতু বলেন, ‘আপনারা আমার অগ্রজ নেতা। সেটা শুধু বয়সে নয়, অভিজ্ঞতাতেও। আমি আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছি সংগঠন মজবুত করার জন্য। আপনারা মতামত দিন, আমি কার্যকর করব। আমাকে আলাদা করেও মতামত জানাতে পারেন।’
আরও পড়ুন: কলকাতা পুরসভা নতুন ভবন পাচ্ছে, সিনেমা হলের জমিতে গড়ে উঠেছে, উদ্বোধনে মেয়র
অন্যদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির এমন হাল অক্সিজেন জোগাচ্ছে শাসকদল বিজেপিকে। জিতুর এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্যরা, স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্যরা, রাজনৈতিক নেতারা, এআইসিসি’র সাধারণ সম্পাদক ভানওয়ার জিতেন্দ্র সিং এবং রাজ্যসভার সাংসদ বিবেক টঙ্খা। তাঁদের সামনেই কেঁদে ফেলেন জিতু পাটওয়ারি। আর তাঁর বক্তব্য, ‘আপনারা জানেন কোন পরিস্থিতিতে আমাকে পার্টির দায়িত্ব নিতে হয়েছে।’ তখন রাজ্𝓡যসভার সাংসদ বিবেক টঙ্খা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে শান্ত করতে বললেন, ‘জিতু ভাই, এ꧂ই কান্নাকাটি চলবে না। আমরা সবাই মিলে লড়ব।’