ꩲ শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি নির্দেশিকা নিয়ে বিতর্কে জড়াল বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশ সরকার। রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি কলেজকে ৮৮ বইয়ের তালিকা পাঠিয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতর। এই বইগুলি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের নেতাদের লেখা। একটি নির্দেশে এই বইগুলিকে পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাই নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছে । তীব্র সমালোচনায় সরব হয়েছে কংগ্রেস। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তারা আদালতে যাবে বলে জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: 💝সরকারি কর্মীরা আরএসএস কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন, আগের নির্দেশ তুলে নিল সরকার
🤪উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে যে ৮৮ টি বইয়ের কথা বলা হয়েছে সেগুলি বেশিরভাগই আরএসএসের প্রাক্তন সহ সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সোনি, বিদ্যা ভারতী, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক দীনানাথ বাত্রা এবং প্রাক্তন এবভিপি-এর সাধারণ সম্পাদক ডঃ অতুল কোঠারির লেখা। শিক্ষা দফতর নির্দেশে জানিয়েছে, জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ অনুযায়ী স্নাতক স্তরের পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভারতীয় জ্ঞান ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। এর জন্য, সমস্ত কলেজের ভারতীয় জ্ঞান ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার জন্য এই সমস্ত বইগুলি কেনা উচিত।
বইয়ের তালিকায় যেসব লেখকের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে দীনানাথ বাত্রার ১৪টি বই, ড. অতুল কোঠারির ১০টি, স্বামী বিবেকানন্দের ৪টি, সুরেশ সোনির ৩টি, ড. কৈলাশ বিশ্বকর্মার ৩টি, দেবেন্দ্র রাও দেশমুখের ৩টি, এনকে জৈন, প্রাণনাথ পঙ্কজ এবং রাকেশ ভাটিয়ার ২টি করে। তালিকায় স্বামী বিবেকানন্দে💜র ব্যক্তিত্ব বিকাশের উপর একটি বই এবং বৈদিক গণিতের উপর বেশ কিছু বই রয়েছে।
🦩নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরএসএসের একজন সদস্যের যুক্তি, কলেজগুলিকে শুধু এই বইগুলি সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। এগুলি অন্যান্য বইয়ের মতোই লাইব্রেরিতে পাওয়া যাবে। রোমিলা থাপারের লেখা বইগুলো যদি লাইব্রেরিতে থাকতে পারে, তাহলে আরএসএস লেখকদের লেখা বইগুলি কেন থাকবে না? তাই নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। রাজ্য বিজেপির প্রধান ভিডি শর্মা বলেছেন, এটি একটি ভাল পদক্ষেপ। কারণ পড়ুয়া ভারতের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবে।
উল্লেখ্য, গত বছর তৎকালীন উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী তথা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব✱ রাজ্যের শিক্ষা পাঠ্যক্রমে ভগবান রাম এবং কৃষ্ণের শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণার করেছিলেন। আর এবার রাজ্যে এই ধরনের পদক্ষেপে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিরোধী কংগ্রেস সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে। তারা দাবি করেছে, বিজেপি ছাত্রদের মধ্যে বিভেদ এবং ঘৃণ্য মতাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। কংগ্রেসের মুখপাত্র কে কে মিশ্র বলেছেন, ‘আমরা এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করছি। আমরা সরকার গঠন করার পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করব।’