‘সন্তানকে বেআইনি ভাবে নিজের কাছে রেখেছেন স্বামী।’ এই অভিযোগ এনে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্ত্রী। তবে আবেদনকারীর সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে মাদ্রাস হাই কোর্ট পর্যবেক্ষণ করে, ‘সন্তানের মঙ্গলের জন্য স্বামী-স্ত্রীর নিজেদের⛄ অভিমান দূরে সরিয়ে রাখা উচিত।’ বিচারপতি এস বৈদ্যনাথন এবং বিচারপতি সি সারাভানান মহিলার আবেদনটি খারিজ করে দিয়ে বলেন যে শিশুটিকে অবৈধভাবে রাখেনি স্বামী। তবে আবেদনকারীকে উপযুক্ত ফোরামে গিয়ে শিশুর হেফাজত🐈ের জন্য আবেদন করার স্বাধীনতা দিয়েছে আদালত।
উল্লেখ্য, স্ত্রীর দাখিল করা আবেদনে বলা হয়, দাম্পত্য কলহের কারণে দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্য তিনি তাঁর ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন। এমন সময় স্বামী তাঁর নাবালক ছেলেকে নিজেরর হেফাজত নিয়ে যায়। একই সময়ে, স্বামীর দা𒆙বি, স্ত্রীই নাবালক পুত্রকে তাঁর হেফাজতে রেখে চলে গিয়েছিলেন দ্বিতীয় সন্তান প্রসবের জন্য। স্বামীর থেকে বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিশ পাওয়ার পরেই সন্তানের হেফাজত সংক্রান্ত বর্তমান আবেদনটি দায়ের করেছিলেন তিনি।
এই আবহে উচ্চ আদালত পর্যবেক্ষণ করে, ‘উভয় পক্ষেরই এটা মনে রাখতে হবে যে অহং (Ego) একটি ছোট তিন অক্ষরের শব্দ। এটাই সম্পর্ক নামক বড় বারো অক্ষরের (Relationship) শব্দকে ধ্বংস করতে পারে। কারণ অহং এবং প্রেম একসাথে থাকতে পারে না। যাই হোক না কেন, এটি বলার অপেক্ষা রাখে না যে এই আদালত সন্তানের হেফাজতের বꦅিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। আবেদনকারীর মা হিসেবে নিজের সন্তানের হেফাজতের জন্য উপযুক্ত ফোরামের সামনে তার আবেদন পেশ করতে পারেন।’ আদালত 🎐বলে, ‘অহংকার এবং অসহিষ্ণুতা হল জুতোর মতো। এটাকে ঘরের বাইরে রেখে আসতে হবে যাতে শিশুটির জীবন দুর্বিষহ না হয়ে ওঠে।’