স্বামীর নামে থাকা বা তাঁর অধিকারে থাকা সম্পত্তিতে একজন গৃহিণীর সমান অধিকার রয়েছে। এদিন এই বড়সড় বার্তা দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। কোর্ট বলছে, একজন গৃহিণী বাড়ি সামলান, নꦅিজের সমস্ত স্বপ্নকে জলাঞ্জলি দিয়ে তিনি তাঁর স্বামীর জন্য লড়াই করেন, যাতে তাঁর স্বামী বেরিয়ে রোজগার করতে পারেন। সেই নিরিখে সꦦ্বামীর অধিকারে থাকা সম্পত্তির সমান অংশিদার তাঁর স্ত্রী। বলছে, কোর্ট।
সদ্য ২১ জুন মাদ্রাজ হাইকোর্টে একটি মামলার নিরি♊খে বিচারপতি কৃষ্ণাণ রামাস্বামী বলেন, যদিও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে স্ত্রীর অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ভারতে এখনও পর্যন্ত কোনও আইন প্রণয়ন করা হয়নি, তবে আদালত এই ধরনের অবদানকে খুব ভালভাবে স্বীকৃতি দিতে পারে। কোর্ট বলছে, স্বামীর নামে থাকা সম্পত্তি, যৌথ অবদানের ফসল। পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে স্বামী ও স্ত্রী দুইজনেরই অবদান রয়েছে এই সম্পত্তিতে। তাঁরা দুজনেই একই সম্পত্তি ভাগ করে নেওয়ার অধিকার প্রাপ্ত। জনৈক কামসালা আম্মাল নামের এক মহিলার আর্জির সাপেক্ষে এই মামলা আদালতে যায়। তিনি আদালতে মামলা করেন, তাঁর মৃত স্বামীর সম্পত্তি নিয়ে। সেই সম্পত্তির দাবিদার তিনি, এমন দাবি জানিয়ে তিনি আদালতের রায়ের মুখাপক্ষী ছি𒅌লেন। এরপর মাদ্রাজ হাইকোর্ট, ৫ টি সম্পত্তি নিয়ে বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখে। দেখা যায়, মামলায় থাকা ৫ টি পৃথক সম্পত্তির মধ্যে আম্মালের স্বামী ২ টি সম্পত্তি নিজের সঞ্চয় থেকে কিনেছিলেন। আম্মালের স্বামী এককালে ছিলেন সৌদিতে। সেখানে নিজের সঞ্চয়ের টাকা থেকে তিনি ওই সম্পত্তি কেনেন। এছাড়াও কিছু গয়না, শাড়ি ও জমি আম্মালের নামে তাঁর স্বামী রেখেছেন। এই সম্পত্তিতে আম্মালের অধিকার নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। সেই প্রশ্নের মুখে পড়ে আইনি লড়াইতে নামেন কামসালা আম্মাল।
স্বামীর সম্পত্তির অধিকার নিয়ে যে প্রশ্নের মুখে আম্মাল পড়েছিলেন, তা হল, স্বামীর পর ওই সম্পত্তি তাঁর ছেলে মেয়েদের, 💯নাকি স্ত্রীর? পাঁচটি সম্পত♎্তি নিয়ে ছিল মামলা। হাইকোর্ট জানিয়েছে, যে ৫ টি সম্পত্তি নিয়ে মামলা, সেই সম্পত্তির ৫০ শতাংশ দাবিদার আম্মালও। আর এই মামলার নিরিখে কোর্ট জানিয়েছে, স্বামীর অধিকারের সম্পত্তির সমান অংশিদার তাঁর স্ত্রী। এছাড়াও দেখা গিয়েছে, ব্যাঙ্কের লকারে রাখা আম্মালের নামে শাড়ি ও গয়না তাঁর স্বামী তাঁকে উপহার হিসাবে দিয়েছেন। ফলে সেগুলি এই মামলায় সম্পূর্ণ ভাবে আম্মালের নিজের।