অর্ণব গোস্বামীর স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি। সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের সঙ্গে কথা বলেন। একইসঙ্গে রিপাবলিক টিভির এডিটর-ইন-চিফের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের দেখা করার অনুমতি দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।সোমবার রাজভবনের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়, ‘মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের সঙ্গে কথা বলেছেন রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি এবং অ্যাঙ্কর ও রিপাবলিক মিডিয়া নেটওয়ার্কের এডিটর-ইন-চিফ অর্ণব গোস্বামীর সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পরিবারকে অর্ণব গোস্বামীর সঙ্গে দেখা করার এবং কথা বলার অনুমতি দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন রাজ্যপাল।’তবে এই প্রথম অর্ণবের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন না মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, যেভাবে অর্ণবকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা নিয়েও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল।২০১৮ সালের আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলায় গত ৪ নভেম্বর অপর দুই অভিযুক্তের পাশাপাশি অর্ণবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেদিনই অর্ণবকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেয় আলিবাগের একটি আদালত। সেই গ্রেফতারির বিরুদ্ধে বম্বে হাইকোর্টে আর্জি জানান অর্ণব। কিন্তু সেখানে এখনও স্বস্তি মেলেনি তাঁর। তারইমধ্যে রবিবার রবিবার সকালে অর্ণব কে নবি মুম্বইয়ের তালজোলা জেলে স্থানান্তরিত করা হয়। তার আগে চার রাত তাঁকে আলিবাগ প্রাথমিক স্কুলে রাখা হয়েছিল। যা রায়গড় জেলার জেলের নির্ধারিত কোভিড কেন্দ্র। সে বিষয়ে তালজোলা জেলের পুলিশ সুপার কৌস্তুভ কুর্লেকর বলেছিলেন, 'কয়েকদিন তাঁকে জেলের কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে রাখা হবে। সেখান থেকে তাঁকে ব্যারাকে পাঠানো হবে।'তবে অর্ণবের পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়, জেলে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে। একটি বিবৃতি জারি করে সাংবাদিকের স্ত্রী সাম্যব্রত রায় গোস্বামী বলেছিলেন, 'তালজোলা জেলে নিয়ে যাওয়ার জন্য রবিবার সকালে আমার স্বামীকে টেনেহিঁচড়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন পুলিশ ভ্যানে তোলে মহারাষ্ট্র পুলিশ। যিনি চার রাত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে ছিলেন। তিনি বারবার বলতে থাকেন, আমার জীবন বিপদের মধ্যে আছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। উনি বারবার বলেছেন, আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তাঁকে বারবার হেনস্থা করেছেন জেলার। যা অভাবনীয়ভাবে অস্বীকার করা হয়। এই হেফাজতে থাকার সময় হেনস্থার বিষয়ে জানিয়েছেন উনি এবং হস্তক্ষেপ ও জামিনের জন্য হাতজোড় করে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আর্জি জানিয়েছেন। একজন নিরীহ মানুষ এবং কয়েক দশকের খ্যাতিসম্পন্ন সাংবাদিককে হেনস্থা করা হয়েছে। মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। যিনি দেশের জন্য কাজ করছেন। কোনওরকম রেহাই না দিয়েই তাঁকে জেলে ঢোকানো হয়েছে।'