সকালে বম্বে হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েছিলেন। মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিং যে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন, সেই মামলায় সিবিআইকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রাথমিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তার কয়েক ঘণ্টা পরই ইস্তফা দিলেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব 🍨ঠাকরেকে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি।
উদ্ধবের মন্ত্রিসভায় দেশমুখের সতীর্থ তথা এনসিপি নেতা নবাব মালিক বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ (শরদ) পাওয়ারজি এবং দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন। জানান, তিনি পদে থাকতে চান না। উনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ইস্তফাপত্র জমা দিতে যান। দলের তরফে ♚মুখ্যমন্ত্রীকে (দেশমুখের) ইস্তফাপত্র গ্রহণের আর্জি জানানো হয়েছে।’ ইতিমধ্যে টুইটারে নিজের ইস্তফাপত্রের ছবিও পোস্ট করেছেন দেশমুখ।
গত ২৫ মার্চ দেশমুখের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে মামলা দায়ের করেন মুম্🎐বই পুলিশের প্রাক্তন প্রধান। অভিযোগ করেন, মুম্বই পুলিশের অ্যাসিসট্যান্ট ইন্সপেক্টর সচিন ভাজকে ফোন করে প্রতি মাসে ১০০ কোটি টাকা তোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন দেশমুখ। যে সচিন আবার মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে বিস্ফোরক রাখার মামলায় জড়িয়ে গিয়েছেন। একইসঙ্গে শহরের এক আইনজীবী জয়শ্রী পাতিল এবং শিক্ষক মোহন ভিডে দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার শুনানিতে সোমবার প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি গিরিশ কুলকার্নির ডিভিশন বেঞ্চ মন্তব্য করে, ‘নজিরবিহীন’ এবং 'অভূতপূর্ব' মামলা। যেখানে স্বাধীন তদন্তের প্রয়োজন আছে। তারই রেশ ধরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অধিকর্তাকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। তারপর মামলার পরবর্তী গতিপ্রকৃতি নির্ধারণের আদেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।
সেই নির্দেশের পর স্বভাবতই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ইস্তফার দাবিতে সরব হয় বিজেপি। যদিও দেশমুখ প্রথমেই দাবি করেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ তোলা হচ্ছে। শেষপর্যন্ত বিরোধীদের চাপের মুখে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন তিনি। তাতে স্বভাবতই খুশি গেরুয়া শিবির।꧑ রাজ্য বিজেপির সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাতিল জানান, সিবিআই তদন্তে আরও অভাবনীয় রহস্য ফাঁস হবে।