শ্রুতি কক্করলোকসভা এমপি মহুয়া মৈত্র। সংসদে প্রশ্ন করার বিনিময়ে তিনি ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ। ক্যাস ফর কোয়েশ্চেন অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। আর সেই মহুয়া দিল্লি হাইকোর্টে জানিয়ে দিলেন তিনি মিডিয়া হাউজ বা সোশ্য়াল মিডিয়া প্লাটফর্মকে কোনও চাপ দেবেন না যাতে তাঁর বিরুদ্ধে অবমাননাকর উপাদান বা ছবি সরিয়ে নেওয়া হয়।এদিকে মহুয়া আগেই জানিয়েছিলেন, নিশিকান্ত দুবে ও জয় আনন্দ দেহাদ্রাই সহ অন্যান্য মিডিয়া হাউজ যেন তাঁর বিরুদ্ধে অবমাননাকর কিছু প্রকাশ থেকে বিরত থাকেন। সেই সঙ্গেই দেহাদ্রাই যাতে ১৪ অক্টোবর নিশিকান্ত দুবেকে লেখা চিঠি প্রত্যাহার করে নেন সেব্যাপারে আবেদন করেন। এমনকী দুবে ও দেহাদ্রাই যাতে লিখিতভাবে তাঁর কাছে ক্ষমা চান সেব্যাপারেও আবেদন করেছিলেন তিনি।তিনি জানিয়েছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে যে ধরনের বিষয় তোলা হচ্ছে তা মিথ্যে ও অবমাননাকর। এটা দেহাদ্রাইয়ের মস্তিস্কপ্রসূত বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। মিডিয়া হাউজকে তিনি খবর দিচ্ছেন বলেও দাবি করেছেন তিনি।আসলে অনেকের মতে, কুকুর নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত। দেহাদ্রাই আদালতে জানিয়েছেন, মহুয়ার আইনজীবী জানাচ্ছেন, কুকুর দিয়ে দেবেন যদি অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এদিকে গত ১৫ অক্টোবর দুবে লোকসভার স্পিকারকে জানিয়েছিলেন, দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করেছেন মহুয়া। আইটি মন্ত্রীকেও তিনি চিঠি লিখেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন দেহাদ্রাই তাঁর কাছে সব তথ্য় দিয়েছেন।এদিকে দর্শন হীরানন্দানি এর আগে হলফনামায় জানিয়েছিলেন, আমি মহুয়াকে দামী লাক্সারি আইটেম উপহার হিসাবে দিয়েছি। এমনকী তাঁর অফিসিয়াল বাংলো সারিয়ে দেব বলে বলেছি। তার বদলে তিনি পার্লামেন্টের লগইন আইডি দিয়েছেন। যাতে তিনি তাঁর পক্ষে প্রশ্ন সরাসরি জমা দিতে পারেন।তবে এর আগে মহুয়া বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তবে ২৭ অক্টোবর তিনি একটি সাক্ষাৎকারে স্বীকার করে নেন তিনি দর্শন হীরানন্দানিকে লগ ইন আইডি দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তাঁর কাছ থেকে নগদ কিছু নেননি।এদিকে এথিক্স কমিটি অবশ্য় গত ২৬ অক্টোবর দুবে ও দেহাদ্রাইয়ের বক্তব্য শুনেছে। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে মহুয়াকে হাজির হওয়ার জন্য বলেছিল এথিক্স কমিটি। তবে মঙ্গলবার আইনজীবীর মাধ্যমে মহুয়া জানিয়েছেন, মিডিয়া হাউজ বা সোশ্য়াল মিডিয়ার কাছ থেকে তিনি কোনও অন্তর্বর্তীকালীন রেহাই চাইছেন না।