মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় প্ররোচিত হতে পারে জঙ্গিরা। তিনি যে মন্তব্য করেছেন, সেটা প্ররোচনামূলক। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মিথ্যা কথা বলেছেন মমতা। এমনই ভাষায় মমতার মন্তব্য নিয়ে ভারতের কাছে বাংলাদেশ সরকার ‘আপত্তি’ জানিয়েছে বলে সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। ওই সংবাদসংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সূত্র জানিয়েছেন যে ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের (মুখ্যমন্ত্রী) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনဣের কাছে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশ সরকার বলেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে টুইট করেছেন, সেটা প্ররোচনামূলক এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মিথ্যা বিষয় আছে সেই টুইটে।’
‘বিভ্রান্তিকর মন্তব্য মমতার’
সূত্র উদ্ধৃত করে ওই সংবাদসংস্থা বলেছে, ‘বাংলাদেশ সরকার আরও জানিয়েছে যে তারা স্🧸বাভাবি💙কত্ব ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। সেই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী যে মন্তব্য (বিশেষত পড়ুয়াদের মৃত্যু নিয়ে) করেছেন, তা বিভ্রান্তিকর।’
‘মমতার কথায় প্ররোচিত হতে পারে জঙ্গিরা’
এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই﷽ সূত্র বলেছেন যে ‘রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাব নিয়ে এক্সে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্টে যে বিষয়টির উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশে সেরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছে ওরা (শেখ হাসিনা সরকার)। সেইসঙ্গে বাংলাদেশ সরকার বলেছে, মমতা যে মন্তব্য করেছেন, বিশেষত মানুষকে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে তিনি যে মন্তব্য করেছেন, তাতে অনেকে প্ররোচিত হতে পারে। বিশেষত এরকম মন্তব্যের সুযোগ কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে প্ররোচিত হতে পারে জঙ্গি এবং দুষ্কৃতীরা।’
মমতা এক্সে ঠিক কী বলেছিলেন?
তবে রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাব নিয়ে এক্স কিছু বলেননি পশ্চিমবঙ্গের🌃 মুখ্যমন্ত্রী। সেই বিষয়টি ন🐼িয়ে একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে বলেছিলেন। রবিবার এক্সে যে পোস্ট করেছিলেন, তাতে মূলত সীমান্ত নিয়ে ভারতীয়দের ফিরে আসা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মমতা। তিনি বলেছিলেন, ‘বিপর্যস্ত বাংলাদেশ থেকে শয়ে-শয়ে পড়ুয়া এবং অন্যরা পশ্চিমবঙ্গ বা ভারতে ফিরে আসছেন।'
তিনি আরও বলেছিলেন, 'যাঁরা ফিরে যাচ্ছেন, তাঁদের যাতে সবরকমের সহায়তা প্রদান করা হয়। সেজন্য আমাদের রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি। উদাহরণস্বরূপ, আজ হিলি সীমান্ত এসে পৌঁছান প্রায় ৩০০ জন পড়ুয়া। তাঁদের অধিকাংশই সুরক্ষিতভাবে নিজেদের গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। ৩৫ জনের অবশ্য ꦡসহায়তার প্রয়োজন ছিল। তাঁদের আমরা প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করেছি।’
তবে সেই মন্তব্য💖ের আগে একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ থেকে বাংলাদেশের বিষয়ে মন্তব্য করার সময় রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাবের বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন মমতা। তিনি জানান যে বাংলাদেশের পরিস্থিতির বিষয়ে কোনও মন্তব্য করবেন না🀅। কিন্তু কোনও অসহায় পশ্চিমবঙ্গের কড়া নাড়লে রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাব মোতাবেক তাঁকে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দেওয়া হবে।