শ্রদ্ধা ওয়ালকার খুনের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার এক ব্যক্তিকে খুন করার অভিযোগ উঠল স্ত্রী এবং ছেলের বিরুদ্ধে। শুধু খুনই নয়, খুনের পর ওই ব্যক্তির দেহ ২২ টুকরো করে ফ্রিজের ভিতর রেখে দিল ছেলে এবং স্ত্রী। এমনই হাড়হিম এবং নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটল পূর্ব দিল্লির পাণ্ডবনগরে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই🦩 ঘটনায় মা পুনম ও ছেলে দীপককে গ্রে✤ফতার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, কয়েক মাস🅷 আগে পাণ্ডবনগর থেকে বেশ কিছু দেহাংশ পায় পুলিশ। ময়নাতদন্তে জানা যায় সেগুলি মানব দেহের অংশ। এরপরে তদন্ত শুরু করে দিল্লির ক্রাইম ব্রাঞ্চ। ওই এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করেন তদন্তকারীরা। তাতে দেখা যায়, একজন মহিলা ও তার ছেলে গভীর রাতে একটি ব্যাগ নিয়ে সন্দেহজকভাবে ঘোরাফেরা করছে। এরপরেই ওই দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, নিহত ব্যক্তির নাম অঞ্জন দাস। তিনি পূর্ব দিল্লির পܫাণ্ডবনগরের বাসিন্দা। তার স্ত্রী পুনম এবং তার ছেলে দীপক জুন মাসে তাকে হত্যা করেছে।
জেরায় মা ও ছেলে খুনের কথা স্বীকার করেছে। তারা জানিয🎃়েছে, অন্য মহিলার সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল অঞ্জনের। সেই কারণে তাকে খুন করছে। পুলিশ জানিয়েছে, অঞ্জনকে প্রথমে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। এরপর তিনি অচেতন হয়ে পড়লে স্ত্রী ও ছেলে মিলে খুন করে দেহের ২২ টি টুকরো করে ফেলে দিয়েছিল। কেউ যাতে বুঝতে না পারে, সেজন্য সেগুলি প্রথমে ফ্রিজে রেখে দেয় ও পরে সেগুলি একটু একটু করে বাইরে ফেলে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভি ক্যামেরার মা ও ছেলেকে ব্যাগে হাতে নিয়ে বেশ কয়েকবার ঘুরতে দেখা গিয়েছে।