শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। দাবি করা হল, ২০২০ সালেই পুলিশকে চিঠি লিখে প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন শ্রদ্ধা ওয়াকর। প্রকাশ্যে আসা সেই চিঠিতে শ্রদ্ধা নাকি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন, আফতাব তাঁকে খুন করার চেষ্টা করে। তাঁরে নাকি খুন করে টুকরো টুকরো করে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেয় আফতাব। প্রসঙ্গত, ꦰ২০২২ সালে শ্রদ্ধাকে সত্যি সত্যি খুন করে টুকরো টুকরো করে আফতাব।
জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধা ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর একটি চিঠি লেখেন পুলিশকে। তাতে তিনি বলেছিলেন, ‘আজ সে আমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার চেষ্টা করেছিল এবং সে আমাকে ভয় দেখায় এবং আমাকে ব্ল্যাকমেল করে। সে বলে যে আমাকে মেরে ফেলবে, আমাকে টুকরো টুকরো করে ফেলে দেবে। ৬ মাস হয়ে গিয়েছে সে আমাকে মারছে কিন্তু পুলিশের কাছে যাওয়ার সাহস আমার ছিল না কারণ সে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে।’ মহারাষ্ট্র পুলিশ চিঠিটির সত্যতা নিশ্চিত করেছে। ভাসাই থানায় এক বন্ধুর সঙ্গে গিয়ে এই অভিযোগপত্র🌱টি জমা দিয়েছিলেন শ্রদ্ধা।
এর আগে র൲াহুল রাই নামক শ্রদ্ধার 🅺এক বন্ধু দাবি করেছিলেন, ‘আমি শ্রদ্ধাকে পুলিশের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। তাঁর ওপর দুই-তিনবার হামলা চালিয়েছিল আফতাব। তাঁর ঘাড়ে একটি গভীর দাগ ছিল। যেন আফতাব তাঁকে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করেছিল। পুলিশ শ্রদ্ধাকে বাড়িতে যেতে রাজি করিয়েছিল। যদিও সেই সময় তিনি আতঙ্কিত ছিলেন।’
প্রসঙ্গত, অনলাইন ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে শ্রদ্ধা এবং আফতাবের আলাপ হয়েছিল। পরবর্তীতে মুম্বইয়ে আফতাবের 🦩সঙ্গে একই কলসেন্টারে কাজ শুরু করেছিলেন শ্রদ্ধা। কিন্তু ভিনধর্মের হওয়ায় শ্রদ্ধাদের সম্পর্ক নিয়ে আপত্তি ছিল পরিবারের। সেই পরিস্থিতিতে আফতাবের সঙ্গে মুম্বই ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন শ্রদ্ধা। পুলিশ জানিয়েছে, ১৮ মে শ্রদ্ধা ও আফতাবের ঝগড়া হয়েছিল। ঝগড়ার সময় শ্রদ্ধার মুখ চেপে ধরেছিল আফতাব। তারপর তাঁকে খুন করেছিল বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, হোটেল ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা করেছিল আফতাব। কয়েক বছর আগে শেফ হিসেবেও কাজ করত। কীভাবেে✤ মাংস কাটতে হবে, তা নিয়ে দু'সপ্তাহের প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। যে প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা দিয়ে শ্রদ্ধার দেহ টুকরো-টুকরো করেছিল আফতাব।