যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশেꦰ একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূকে ধর্ষণ করেছিল তাঁর শ্বশুর। কিন্তু, সেই গৃহবধুর পাশে না দাঁড়িয়ে তাঁকে মা সম্বোধন করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিল স্বামী। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে মুজাফ্ফরনগর। তাঁর স্বামীর বক্তব্য, যেহেতু স্ত্রীর সঙ্গে তার বাবার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে তাই আর তাদের মধ্যে স্বামী–স্ত্রীর কোনও সম্পর্ক থাকছে না। এখন থেকে ওই মহিলা তাঁর মা। এই ঘটনায় শ্বশুর এবং স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন ওই গৃহবধূ। তার ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: লা꧋গাতার ধর্ষণে 🦹গর্ভবতী নাবালিকার গর্ভপাত করানোর অভিযোগ, গ্রেফতার মামা কাসেম
মহিলার অভিযোগ, মিরাপুরের বাসিন্দা প্রেমের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল প্রায় এক বছর আগে। তবে বিয়ে হওয়ার পর থেকেই তাঁর শ্বশুরের কুমতলব ছিল। খারাপ দৃষ্টিতে তাঁর দিকে তাকাত। এমনকী একা পেলে তাঁর অশালীন আচরণ করত। নানা অছ✃িলায় তাঁর গায়ে হাত দেওয়ারও চেষ্টা করত শ্বশুর। এভাবেই একদিন বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে তাঁর শ্বশুর তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। মহিলা জানান, ঘটনাটি ঘটেছিল গত ৫ জুলাই। সেই সময় তিনি কয়েক মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। এমনকী ঘটনাটি কাউকে জানালে তাঁকে মে🦂রে ফেলারও হুমকি দেয় ওই ব্যক্তি। নির্যাতিতা জানান, প্রথমে কাউকে বলতে ভয় পেলেও একদিন স্বামীকে ঘটনাটি তিনি জানান। তিনি ভেবেছিলেন ঘটনাটি জানার পর তাঁর স্বামী।তাঁর পাশে দাঁড়াবেন। কিন্তু, ঘটনাটি জানতে পেরেই ঘটে বিপত্তি। পাশে দাঁড়ানোর পরিবর্তে তাঁর স্বামী তাঁকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলে। সে আরও বলে, ধর্ষণের ঘটনার পর ওই মহিলা এখন তার মা হয়েছেন। কারণ তার বাবার সঙ্গে মহিলার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। মহিলা তাঁর স্বামীকে তাঁকে ছেড়ে না যাওয়ার জন্য জোর করেছিলেন। কিন্তু, তারপরেই তাঁর স্বামী তাঁকে মারধর করে এবং তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ।
পরে মহিলা পুলিশের কাছে গিয়ে শ্বশুর ও স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার পরেই অভিযুক্ত ও তার ছেলে পলাতক রয়েছে। 🥂পুলিশ শ্বশুর ও তাঁর স্বামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে। পুলিশ আরও জানায়, নির্যাতিতা মহিলার বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে এবং জবানবন্দির ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে মুজাফফরনগর জেলায় একই রকম একটি ঘটনায় ২৮ বছর বয়সি এক মহিলাকে তাঁর শ্বশুর ধর্ষণ করে। তার পরে পঞ্চায়েত সিদ্ধান্ত নেয় যে তাঁর স্বামী এরপরꦰ থেকে তাঁর ছেলে।