বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই মণিপুর জ্বলছে রাজনৈতিক হিংসায়। এরই মাঝে এবার সেই রাজ্যে মায়ানমারের বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করার কাজ শুরু হল। সরকারের তরফে এক বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করা হবে। এরপর কারা শরণার্থী, তাদের একটি তালিকা তৈরি হবে। এর ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে কোন শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রধান করা হবে। সম্প্রতি অসম রাইফেলসকে ৩০১ শিশু-সহ ৭১৮ জন মায়ানমার নাগরিককে ভারত থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল মণিপুর সরকার। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করা হচ্ছে, কুকিরা মায়ানমার সীমান্তের ওপার থেকে অবৈধভাবে সে রাজ্যে অনুপ্রবেশ করছে এবং মণিপুরের ꦰবনাঞ্চলে বসতি তৈরি করছে। এই আবহে এই বায়োমেট্রিক শনাক্তকরণ শুরু হয়েছে। যদিও কুকিদের যুক্তি, অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশের কথা বলে তাদের সে রাজ্য থেকে উৎখাতের প্রচেষ্টা চলছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিম মায়ানমারেജর খাম্পাতে চলমান সংঘর্ষের কারণে ৭১৮ জন মণিপুরের বিভিন্ন জেলায় অনুপ্রবেশ করে। এই ঘটনার পর মণিপুরের স্বরাষ্ট্র বিভাগ অসম রাইফেলসের কাছে এই ঘটনার কারণ জানতে চেয়ে বিশদ রিপোর্ট তলব করে। জানতে চাওয়া হয়, কেন বৈধ নথি না থাকা সত্ত্বেও মায়ানমারের নাগরিকদের মণিꩵপুরের চান্দেল জেলার সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে মায়ানমারের পড়শি রাজ্য মিজোরামে ✅মায়ানমারের ৩৫ হাজারেরও বেশি শরণার্থী রয়েছে। জাতিগত ভাবে মিল থাকায় তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল মিজোরা। তবে মণিপুরের ক্ষেত্রে সেই বিষয়টি খাটে না। এই আবহে অভিযান চালিয়ে বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে মণিপুর সরকার। এর জন্য একটি জনসংখ্যা কমিশন গঠন করা হয়েছে। মণিপুর-মিজোরাম সীমানার প্রায় ১০ কিলোমিটারের বেশি এলাকায় বেড়া দেওয়া হয়েছে। এদিকে মণিপুরে এই হিংসার নেপথ্যে মায়ানমারের অনুপ্রবেশকারীদের হাত থাকতে পারে বলেও মনে করছে সরকার।
উল্লেখ্য, গত ৩ মে থেকে জাতিগত হিংসার সাক্ষী মণিপুর। মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত ছিল। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি অবস্থা। এখনও পর্যন্ত কয়েক হাজার জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চূড়াচাঁদপুর, মোরে, কাকচিং এবং কাংপোকপি জেলা থেকে অধিকাংশ মানুষকে সরানো হয়েছে। এরই মধ্যে হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। রেহাই পাচ্ছে না মহিলা ও শিশুরাও।👍 এরই মধ্যে সম্প্রতি মণিপুরে তিন মহিলাকে নগ্ন করে রাস্তায় ঘোরানো এবং গণধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছিল। সেই ঘটনার বিভীষিকাময় এক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়।