🗹 ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদী। সেবছরই ৩ অক্টোবর থেকে শুরু হয় মন কি বাত অনুষ্ঠান। আজ এই অনুষ্ঠানের ১০০তম পর্ব সম্প্রচারিত হবে। আর এই নিয়ে বিশেষ আয়োজন করেছে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি। এদিকে আজকের মন কি বাতের এই পর্বটি আরও স্মরণীয় এবং ঐতিহাসিক হতে চলেছে। কারণ এই প্রথমবারের জন্য এই অনুষ্ঠান দেখানো হবে রাষ্ট্রসংঘে। জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রসংঘের ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে এই অনুষ্ঠানটি দেখানো হবে। যা নদিরবিহীন।
☂এদিকে মোদীর মন কি বাতের ১০০তম পর্বকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে গেরুয়া শিবির। দেশের বিধানসভা কেন্দ্রে ১০০টি করে জায়গায় এই অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে চলেছে তারা। দেশ জুড়ে প্রায় ৪ লাখ জায়গায় এই অনুষ্ঠান সম্প্রচার করার কথা বিজেপির। অনুষ্ঠানের ১০০তম পর্বকে 'ঐতিহাসিক ভাবে সফল' করতেই এই বিশেষ উদ্যোগ পদ্ম শিবিরের। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা নিজে এই বিষয়টি দেখছেন। জানা গিয়েছে, সব রাজ্যের রাজভবনে, বিজেপি ও তাদের জোটসঙ্গী শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনেও মন কি বাত অনুষ্ঠানের সম্প্রচারের বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই সঙ্গে ভারতের গণ্ডি ছাড়িয়ে সুদূর আমেরিকার নিউইয়র্কে অবস্থিত রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরেও সম্প্রচারিত হবে প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই অনুষ্ঠানের ১০০তম পর্ব।
🔯এই নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী দূত এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, 'রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরে ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে ৩০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী মোদীর 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানের ১০০তম পর্ব লাইভ সম্প্রচার করা হবে। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের জন্য প্রস্তুত হন।' টুইট বার্তায় আরও লেখা হয়েছে, 'মন কি বাত অনুষ্ঠানটি জাতীয় ঐতিহ্য হয়ে উঠেছে। প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ লোককে ভারতের উন্নয়নমূলক যাত্রায় অংশগ্রহণ করতে অনুপ্রাণিত করছে এই অনুষ্ঠান।' এদিকে লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনেও মোদীর 'মন কি বাত' সম্প্রচারিত হবে আজ। স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৬টার সময় মন কি বাতের স্ক্রিনিংয়ের উদ্যোগ নিয়েছে ভারতীয় হাইকমিশন।
꧒এর আগে সরকারের তরফে জানানো হয়, দেশের ১০০ কোটি মানুষ একবার না একবার হলেও প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই 'মন কি বাত' অনুষ্ঠান শুনেছেন। প্রায় ২৩ কোটি মানুষ নিয়মিত 'মন কি বাত' শোনেন বলে দাবি করা হয়েছে আইআইএম রোহতক একটি সমীক্ষায়। সমীক্ষা রিপোর্টটি প্রকাশ করেছিলেন প্রসার ভারতীর সিইও গৌরব দ্বিবেদী। রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯ থেকে ৩৪ বছর বয়সি শ্রোতাদের সংখ্যা ৬২ শতাংশ।