꧅গত ৪৮ ঘণ্টায় ইজরায়েল সেনার হামলায় প্রায় তছনছ হয়ে গিয়েছে গাজা। মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ৪০০-র বেশি প্যালেস্টাইনের বাসিন্দার মৃত্যুর সাক্ষী হয়েছে গাজা।পশ্চিম এশিয়ার এই পরিস্থিতি নিয়ে এবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। বুধবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানানো হয়েছে। গাজার এই কঠিন সময়ে মানবিক সহায়তা বহাল রাখার পক্ষেও সওয়াল করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সরকারের বিবৃতি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, ‘আমরা গাজা💛র পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। সকল পণবন্দিকে মুক্তি দেওয়া খুব জরুরি।গাজার মানুষদের জন্য যাতে মানবিক সাহায্য চালিয়ে যাওয়া হয়, আমরা তার দাবি জানাচ্ছি।’ অন্যদিকে, ইজরায়েলের এই হামলার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউস থেকে বলা হয়েছে, হামলার আগে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিয়েছিলেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তাদের মতামত নিয়েই হামলা শুরু হয়েছে। পরে নেতানিয়াহু হামলার মাত্রা আরও বাড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। একটি অনুষ্ঠানে গাজার হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই তো সবে শুরু। গত ২৪ ঘণ্টায় হামাস বুঝতে পেরেছে, আমাদের বাহিনী কতটা ওজনদার। লক্ষ্যপূরণের জন্য আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।’ নেতানিয়াহু আরও জানান, সকল পণবন্দিকে মুক্ত না করা পর্যন্ত এবং হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে।
ဣপশ্চিম এশিয়ার যুদ্ধে প্রথম থেকেই শান্তির পক্ষে কথা বলে এসেছে ভারত। গাজায় এর আগে তারা মানবিক সাহায্যও পাঠিয়েছিল। অনেকের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গাজায় ইজরায়েলের হামলার মাঝে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে নয়াদিল্লির উদ্বেগপ্রকাশ তাৎপর্যপূর্ণ হতে পারে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস থেকে ইজরায়েল এবং প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যু্দ্ধ চলছে। সম্প্রতি শর্তসাপেক্ষে উভয়পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল। গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। কিন্তু আচমকা তার শর্ত লঙ্ঘন করে গাজায় আবার হামলা শুরু করেছে ইজরায়েল। রমজান মাস চলাকালীনই প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নির্দেশে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে গোলাবর্ষণ। খবর এমনটাই।