আফস্পা ইস্যুতে চলতি মাসে সরগরম হয়ে ওঠে উত্তরপূর্বের রাজনীতি। জঙ্গি সন্দেহে সেনার গুলিতে নাগাল্যান্ডে ১৩ জনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে কার্যত সরগরম হয়ে ওঠে উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলি। বিভিন্ন রাজনৈতিক শিবিরের পক্ষ থেকে সেখানে আফস্পা বা সেনা বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন (১৯৫৮)কে বাতিল করার ডাক দেওয়া হয়। এরপরই নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী সহ উত্তর পূর্বের একাধিক নেতার সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিষয়টি নিয়ে গড়া হয় কমিটি। এদিকে, আজ মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা জানিয়েছেন, যে কোনও সময়ে বাতিল হয়ে যেতে পারে আফস্পা আইন।নাগাল্যান্ডে আফস্পা আইন থাকবে কি না, এই প্রশ্নের জবাব পেতে কেন্দ্র একটি কমিটি তৈরি করেছে। আর্মড ফোর্সেস স্পেশ্যাল পাওয়ার অ্যাক্ট বা আফস্পা তুলে নেওয়ার দাবিতে ইতিমধ্যেই নাগাল্যান্ডের বিধানসভায় একটি প্রস্তাব পেশ হয়। এরপর দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসেন নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেফিউ রিও। তারপর তিনি জানান, নাগাল্যান্ড থেকে আফস্পা প্রত্যাহার হবে কি না, তা বিবেচনা করতে কেন্দ্র একটি কমিটি গড়ছে। শোনা যায়, কমিটিতে কেন্দ্র ও রাজ্যের একাধিক প্রতিনিধি থাকবেন। এরপর বৃহস্পতিবার মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা বলেন, 'আমি নিশ্চিত যে পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর যখনই সময় আসবে তখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে এই আইনের বাতিল হওয়া প্রয়োজন। যদিও নাগাল্যান্ডে ছয় মাসের বাড়তি সময়সীমা রয়েছে, তবুও যে কোনও সময় তা বাতিল করে দেওয়া যেতে পারে।' এ বিষয়ে কনরাড সাংমা কমিটির ওপর আস্থা রেখে বলেছেন যে তিনি নিশ্চিত যে বিষয়টিতে আলাদা করে গুরুত্ব দেওয়া হবে।এদিকে, কেন্দ্রীয় সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার এই মতবাদে উপনীত হয়েছে যে নাগাল্যান্ডে পরিস্থিতি এখনও সুস্থির হয়নি, আর ভয়ঙ্কর অবস্থা রয়েছে। সেই সূত্র ধরে কেন্দ্র জানিয়েছে, সেখানে সিভিল পাওয়ারের জন্য সেনার ব্যবহার জরুরি। কেন্দ্রীয় বিবৃতিতে নাগাল্যান্ডকে 'ডিসটার্বড এরিয়া' বলে ব্যাখ্যা করে, এই আইনের প্রয়োজনীয়তাকে আরও ছয় মাসের জন্য বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। তবে তারপর মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ঘিরে আফস্পা ইস্যুতে জল্পনা ক্রমেই চড়ছে।