পঞ্জাবের আদমপুর ဣথেকে উড়েছিল ভারতীয় সেনার মিগ ২৯। এরপর তা আগরার কাছে আছড়ে পড়ে। সোমবারের এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার জরে কোনও হতাহতের খবর না পাওয়া গেলেও▨, চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আগরার কাছে সোনিগা গ্রামে।
আর চার পাঁচটা দিনের মতোই আগরার কাছে সোনিগা গ্রাম সন্ধ্যায় সময়ের চেনা মেজাজে ছিল। পড়ন্ত রোদে তখন ময়ূরের ডাক গ্রাম জুড়ে। হঠাৎই বিকট শব্দ। ময়ূরেরা নিজের মতো করে চিৎকারে সরব তখন। এদিকে, শব্দ শুনেই গ্রামের মানুষ আকাশের দিকে তাকাতেই দেখে প্যারাশুটে করে নামছেন কেউ। তিনি নেমে আসতেই গোটা ঘটনা পরিষ্কার হয়। উত্তর প্রদেশের আগরার কাগারোল পুলিশ স্টেশনের আওতায় সোনিগা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে গিয়েছে। ভারতীয় সেনার যুদ্ধবিমান ♒মিগ ২৯ আছড়ে পড়ে গ্রামের মধ্যে। দুর্ঘটনা গ্রস্ত যুদ্ধবিমান অগুনে ভস্মীভূত হতে থাকে মাঠের প্রান্তরে। জমে যায় ভিড়। ততক্ষণে প্যারাশুটে নেমে আসা পাইলটকে ঘিরে ফেলেন সকলে। তাঁকে একটি খাটিয়ায় বসানো হয়। জানা গিয়েছে, পাইলট বিপন্মুক্ত। জানা গিয়েছে বিমান উড়েছিল পঞ্জাবের আদমপুর থেকে।
বায়ুসেনার তরফে বলা হয়েছে, ‘ আইএএফের একটি মিগ -২৯ বিমান আজ একটি নিয়মিত প্রশিক্ষণের সময় আগ্রার কাছে বিধ্বস্ত হয়েছিল, স⛎িস্টেমের ত্রুটির সম্মুখীন হওয়ার পরে। যাতে জীবন বা সম্পত্ত🅷ির কোনও ক্ষতি না হয়, তার জন্য নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে যুদ্ধবিমান থেকে নিরাপদে নেমে যান পাইলট। দুর্ঘটনার কারণ জানতে বায়ুসেনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।’
মিগ২৯ যুদ্ধবিমানের দুর্ঘটনার কবলে পড়ার ঘটনা এই নিয়ে প্রথমবার নয়। ২ রা সেপ্টেম্বর, একটি মিগ ২৯ যুদ্ধবিমান রাজস্থানের বারমেরে একটি প্রযুক্তিগত সমস্যা তৈরি করার পরে বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার আগে পাইলট নিরাপদে বের হতে সক্ষম হন। যুদ্ধবিমান, যেটি বারমেঢ় সেক্টরে একটি বিমান বাহিনী ঘাঁটি থেকে একটি প্রশিক্ষণ মিশনে ছিল, সেটি বারমেঢ় উত্তরলাইয়ের কাছে একটি ক্ষেতে বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই একটি ত্রুটি দেখা দেয়। তারপরই তার থেক෴ে আগুন বের হতে থাকে। যে জায়গায় ওই বিমান পড়েছিল, তা জনবহুল এলাকা ছিল না।