উত্তরপ্রদেশের অরাইয়ায় মৃত শ্রমিকদের দেহ পাঠানো হচ্ছিল পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে। আর সেই গাড়িতেই তোলা হয়েছিল জীবিত শ্রমিকদের। তা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার।খবর পেয়ে রবিবার রাতে নবাবগঞ্জের কাছে ট্রাকটি আটকায় প্রয়াগরাজ পুলিশ। তারপর পৃথক গাড়ির বন্দোবস্ত করা হয়। প্রয়াগরাজের আইজি রেঞ্জ জানান, মৃতদেহগুলি আলাদাভাবে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত শববাহী যানে পাঠানো হয়েছে এবং ভিটেয় ফিরতে জীবিত শ্রমিকদের জন্য আলাদা একটি গাড়ির বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে পুরুলিয়ার গ্রামে পৌঁছে গিয়েছে শ্রমিকদের দেহ। ফিরেছেন আহত শ্রমিকরাও। গত শুক্রবার গভীর রাতে অরাইয়ায় দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ২৪ জন পরিযায়ী শ্রমিকের। তাঁদের মধ্যে অনেকেই ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ছিলেন।জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড ও বাংলার কমপক্ষে ১৭ জনের মৃতদেহ একটি ট্রাকে তোলা হয়। সেই ট্রাকেই কয়েকজন আহত শ্রমিককেও নিজেদের ভিটেয় পাঠানো হচ্ছিল।এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, পুরো জেলায় মাত্র দুটি শববাহী যান রয়েছে। সেজন্য মৃতদেহগুলির সঙ্গে আহত শ্রমিকদের একই ট্রাকে পাঠানো হচ্ছিল। কিন্তু কানপুর, এটাওয়া, কনৌজের মতো পার্শ্ববর্তী জেলাগুলি থেকে কেন বাড়তি গাড়ি আনা হল না বা নিদেনপক্ষে দুটি গাড়ির বন্দোবস্ত করা হল না, তা নিয়ে অবশ্য কোনও সদুত্তর মেলেনি।বিষয়টি নিয়ে কানপুর ডিভিশনের কমিশনার এস কে বোবদে এবং অরাইয়ার জেলাশাসক অভিষেক সিংয়ের সঙ্গে একাধিকবার যোগযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁদের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে পাঁচ লেখপালকে বরখাস্ত করেছেন অরাইয়ার জেলাশাসক। পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃতদেহ বাড়ি পাঠানোর জন্য ওই লেখপালদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।